ইরানকে রাশিয়ার শীর্ষ সামরিক সহযোগী আখ্যায়িত করে যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, এশিয়া ও ইউরোপের দেশ দুটির সম্পর্ক এখন পরিপূর্ণ প্রতিরক্ষা অংশীদারত্বে রূপ নিয়েছে।
স্থানীয় সময় শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের মুখপাত্র জন কিরবি বলেন, ‘রাশিয়া ও ইরান পরস্পরকে নজিরবিহীন সামরিক সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে।’
যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন সংস্থার প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে কিরবি আরও বলেন, ‘দুই দেশ যৌথভাবে প্রাণঘাতী ড্রোন উৎপাদনের বিষয়টি নিয়ে ভাবছে।’
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া যুদ্ধে সম্প্রতি ইরানি ড্রোন দিয়ে ইউক্রেনে হামলা চালায় রাশিয়া। এরপরই দুই দেশের সম্পর্ক নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়।
রাশিয়াকে ড্রোন দেয়ার কথা অস্বীকার করে ইরান বলেছে, ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর আগে কিছু ড্রোন মস্কোকে দিয়েছিল তেহরান।
কিরবির দাবি, ড্রোন উৎপাদনের ক্ষেত্রে দুই দেশের অংশীদারত্ব ইউক্রেন, ইরানের প্রতিবেশী দেশ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
তিনি বলেন, ‘অস্ত্র উন্নয়ন, প্রশিক্ষণে ইরানের সঙ্গে সহযোগিতা করতে চাইছে মস্কো। যুক্তরাষ্ট্র আশঙ্কা করছে, হেলিকপ্টার ও আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাসহ উন্নত সামরিক অস্ত্র দিয়েও ইরানকে সহায়তা করার ইচ্ছা আছে রাশিয়ার।’ বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরানি কামিকাজে ড্রোনের হামলায় ১৭ অক্টোবর ইউক্রেনে কমপক্ষে আটজন নিহত হন। এ হামলার পর ইরান জানায়, যুদ্ধ শুরুর কয়েক মাস আগে তারা রাশিয়াকে সীমিতসংখ্যক ড্রোন দেয়। ইরানের এ দাবিকে মিথ্যা আখ্যা দিয়ে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি বলেন, ‘এমন বক্তব্য মিথ্যা। এক দিনে ১০ ইরানি ড্রোন ভূপাতিত করেছে ইউক্রেন।’