কেমন হবে যদি হঠাৎ শোনেন রাষ্ট্রীয়ভাবে আইন করে কমিয়ে দেয়া হচ্ছে আপনার বয়স? হয়তো চমকে উঠবেন। বাস্তবতা হলো এ পথেই হাঁটতে যাচ্ছে সাউথ কোরিয়া।
বার্তা সংস্থা এএফপির বরাত দিয়ে শুক্রবার গালফ নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশটি স্থানীয় প্রচলিত বয়স গণনা পদ্ধতি থেকে বের হতে বেশ কয়েকটি আইন পাস করেছে, যাতে রাষ্ট্রীয়ভাবে অনেকের বয়সই কমে যাচ্ছে।
সাউথ কোরিয়ার বর্তমান বয়স গণনা পদ্ধতিতে জন্মের পর থেকেই এক বছর ধরা হয়। আর দেশটিতে প্রতি বছরের জানুয়ারির শুরুর দিন প্রত্যেকের বয়সের সঙ্গে আরেক বছর যুক্ত হয়। সেখানে আন্তর্জাতিক নিয়মে জন্মদিনে বয়স যোগ হয়।
এ নিয়ে বৃহস্পতিবার সিউলের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে কয়েকটি বিল পাস হয়। আর এসব বিল পাসের মধ্য দিয়ে সাউথ কোরিয়া আগামী বছরের জুন থেকে আন্তর্জাতিক নিয়মে বয়স গণনা করা হবে। একটি বিবৃতিতে দেশটির ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি জানায়, বয়স গণনার মিশ্র পদ্ধতি ও এর ফলে সৃষ্ট সামাজিক বিভ্রান্তির সমাধানের জন্য নতুন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
প্রচলিত বয়স গণনা পদ্ধতি ছাড়াও মদ্যপান ও ধূমপানের বৈধতার জন্য সাউথ কোরিয়ায় আরেকটি বয়স গণনা পদ্ধতি রয়েছে।
বয়স গণনায় একাধিক পদ্ধতির কারণে হওয়া প্রশাসনিক ও সামাজিক ব্যয়ের কথা উল্লেখ করে এ পরিবর্তনের পক্ষে প্রচার চালাচ্ছেন সাউথ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওল।
উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, একজন ব্যক্তি ১৯৯২ সালের ৩১ ডিসেম্বর জন্ম নিলে ২০২২ সালের ৯ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক নিয়মে তার বয়স হবে ২৯ বছর। সাউথ কোরিয়ার প্রচলিত বয়স গণনা পদ্ধতিতে তার বয়স হবে ৩১, আর মদ্যপান ও ধূমপানের আইনে বয়স হবে ৩০।
এ খবরে উচ্ছ্বসিত সাউথ কোরীয়রা। তাদের একজন টুইটারে লেখেন, ‘দুই বছর কমে যাচ্ছে। আমি খুব খুশি। আমি ডিসেম্বরে জন্মেছিলাম বলে আমি জন্মের পরেই দুই বছর বয়সী হয়েছি। অবশেষে আমি আমার আসল বয়স ফিরে পেতে যাচ্ছি।’