আফগানিস্তানে ফের ক্ষমতায় আসার পর বুধবার প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে তালেবান।
যুক্তরাষ্ট্রের সেনারা আফগানিস্তান ছাড়ার পর গত বছরের ১৫ আগস্ট দেশটির ক্ষমতায় আসে তালেবান।
তালেবানের মুখপাত্র জবিউল্লাহ মুজাহিদের বরাত দিয়ে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, আফগানিস্তানের দক্ষিণ-পশ্চিম ফারাহ প্রদেশের একটি স্টেডিয়ামে হত্যাকাণ্ডের দায়ে অভিযুক্ত ওই ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। অভিযুক্ত ব্যক্তি ২০১৭ সালে একজনকে কুপিয়ে হত্যা করেন। এ হত্যা মামলাটি তদন্ত করে আফগানিস্তানের তিনটি আদালত। পরে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের অনুমোদন দেন তালেবানের কান্দাহার প্রদেশের শীর্ষ নেতা। কীভাবে ওই ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে, তা নিয়ে তালেবানের পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি। মুজাহিদ জানান, ১২ জনের বেশি তালেবান কর্মকর্তা মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের সময় স্টেডিয়ামটিতে ছিলেন।
সম্প্রতি আফগানিস্তানের বিচারকদের শরিয়া আইন পুরোপুরি কার্যকরের নির্দেশ দিয়েছে তালেবান, যার কয়েক সপ্তাহ পরই প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের ঘটনা সামনে এলো।
জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তরের এক মুখপাত্র গত মাসে তালেবান কর্তৃপক্ষকে প্রকাশ্যে বেত্রাঘাতের শাস্তি বন্ধের আহ্বান জানান।
এর আগে ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকার সময়েও আফগানিস্তানে জনসমক্ষে বেত্রাঘাত এবং পাথর নিক্ষেপের মাধ্যমে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছিল তালেবান।