ভারতের উত্তর প্রদেশের হাথরাসে ২০১৫ সালে কিশোরীকে খুনের দায়ে কারাদণ্ড হয়েছিল এক ব্যক্তির। এখনও জেলে আছেন দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তি। অথচ যাকে খুনের জন্য তিনি জেলে গিয়েছিলেন, সেই কিশোরীকে সম্প্রতি জীবিত অবস্থায় পেয়েছে পুলিশ।
শুধু তা-ই নয়, প্রায় এক দশক আগে নিখোঁজ হওয়া মেয়েটি স্বামী ও দুই সন্তান নিয়ে রীতিমতো সংসার করছেন।
স্থানীয় পুলিশের বরাত দিয়ে গালফ নিউজের প্রতিবেদনে জানানো হয়, ২০১৫ সালে আলিগড় থেকে ১৪ বছর বয়সে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন ওই নারী। পরে একটি দেহ পাওয়া গেলে তার বাবা সেটিকে নিজের মেয়ের বলে শনাক্ত করেন। এরপর প্রতিবেশী শ্রমিকের বিরুদ্ধে মেয়েকে অপহরণ ও খুনের অভিযোগ করেন তিনি। বিচারে জেলও হয় ওই শ্রমিকের।
সম্প্রতি অভিযুক্তের পরিবার আলিগড় পুলিশকে জানায়, ওই নারী জীবিত রয়েছেন। হাথরাসে বিয়ে করে সংসার করছেন।
এরপরই পুলিশ হাথরাসে অভিযান চালিয়ে নিখোঁজ হয়ে যাওয়া নারীকে আলিগড়ে নিয়ে আসে। তার ডিএনএ টেস্ট করা হবে। একই সঙ্গে এ ঘটনার পুনর্তদন্ত শুরু করা হবে।
জেলে থাকা অভিযুক্তের মা বলেন, ‘আমি সবসময় বিশ্বাস করতাম, আমার ছেলেকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। আমি পরিচিত সবাইকে জিজ্ঞাসা করেছি, তারা কোথাও হারিয়ে যাওয়া মেয়েটিকে দেখেছে কি না।
‘কেউ কেউ আমার কথা ভালোভাবে নিয়েছে; কেউ কেউ নেয়নি। এ ঘটনার পর আশা করি আমার ছেলে শিগগিরই মুক্তি পাবে।’
উত্তর প্রদেশের পুলিশ কর্মকর্তা রাঘবেন্দর সিং বলেন, ‘মেয়েটিকে স্থানীয় আদালতে হাজির করা হয়েছে। আদালতের অনুমতি পাওয়ার পর আমরা তার পরিচয় নিশ্চিত করতে ডিএনএ টেস্টের প্রক্রিয়া শুরু করেছি। প্রতিবেদনের ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’