বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভের মুখে করোনাভাইরাস-সংক্রান্ত কঠোর বিধিনিষেধ তুলে দিয়েছে চীন সরকার।
দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে বিবিসির বুধবারের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
চীনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় বলা হয়, এখন থেকে মৃদু বা উপসর্গহীন করোনা রোগীদের সরকারি কোয়ারেন্টিন সেন্টারে যেতে হবে না। তারা বাড়িতে বসেই করোনা পরীক্ষা করতে পারবেন।
নির্দেশনা অনুযায়ী, হাসপাতাল এবং স্কুল ছাড়া অন্যান্য জনসমাগমস্থলে করোনার পিসিআর পরীক্ষা ছাড়াই যাওয়া যাবে।
- আরও পড়ুন: হতাশা থেকেই চীনে বিক্ষোভ: শি চিনপিং
এর আগে চীনে করোনা রোগীদের বাধ্যতামূলক সরকারি কোয়ারেন্টিন সেন্টারে যেতে হতো। আর জনসমাগমস্থলে যোগ দিতে বাধ্যতামূলক পিসিআর পরীক্ষা করতে হতো।
চীনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, লকডাউন আরোপ করতে হবে নির্দিষ্ট ভবনে। একটি ভবনে কেউ আক্রান্ত হলে পুরো এলাকা বা শহরে বিধিনিষেধ আরোপ করা যাবে না। লকডাউনের আওতাধীন এলাকা বা ভবনে যদি নতুন করে কেউ আক্রান্ত না হন, তাহলে পাঁচ দিন পর সেটি তুলে দিতে হবে।
যদি স্কুলে দুই-তিনজন সংক্রমিত হয়, তাহলে শিক্ষা কার্যক্রম চলবে। সংক্রমণ বেশি ছড়িয়ে পড়লে তখন স্কুল বন্ধ করা যেতে পারে।
লকডাউনের আওতাধীন ভবনে জরুরি প্রস্থান ব্যবস্থা নিশ্চিত রাখতে হবে, যেন অগ্নিকাণ্ড বা অন্য কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে মানুষ বের হয়ে যেতে পারেন।
লকডাউনের মধ্যে চীনের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল শিনচিয়াংয়ের রাজধানী উরুমকিতে কয়েক দিন আগে ভবনে আগুনে ১০ জনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনার পর চীনের বিভিন্ন শহরে ‘জিরো করোনা’ নীতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু হয়।
বিক্ষোভকারীরা একপর্যায়ে চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিনপিংয়ের পদত্যাগ দাবি করেন। চীনের ক্ষমতাসীন দল কমিউনিস্ট পার্টি অফ চায়না (সিপিসি) থেকেও তার পদত্যাগ চান বিক্ষোভকারীরা।