দলীয় পদ থেকে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে সরাতে কার্যক্রম শুরু করেছে দেশটির নির্বাচন কমিশন।
তোশাখানা মামলায় অযোগ্য হওয়ার পর মঙ্গলবার তার বিরুদ্ধে এ কার্যক্রম শুরু হয়।
পাকিস্তানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়, দলীয় পদ থেকে সরে যাওয়া নিয়ে ইমরানের উদ্দেশে নোটিশ জারি করা হয়েছে। আদালতে এ-সংক্রান্ত মামলার শুনানি হবে ১৩ ডিসেম্বর।
রাষ্ট্রীয় উপহার বিক্রির তথ্য গোপন করায় এরই মধ্যে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের পার্লামেন্ট সদস্যপদ খারিজ করা হয়েছে। তাকে নির্বাচনের অযোগ্য ঘোষণা করেছে দেশটির নির্বাচন কমিশন (ইসিপি)।
ইমরান তোশাখানায় থাকা উপহার ও এগুলো বিক্রি থেকে আয়ের বিবরণ বিস্তারিতভাবে দেননি বলে আগস্টে অভিযোগ করে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের নেতৃত্বাধীন সরকার। পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) সিকান্দার সুলতান রাজার কাছে চিঠি পাঠানো হয়।
সেপ্টেম্বরে নির্বাচন কমিশনে জমা দেয়া লিখিত জবাবে ইমরান প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন পাওয়া উপহারের কমপক্ষে চারটি বিক্রির কথা স্বীকার করেছিলেন।
১৯৭৪ সালে প্রতিষ্ঠিত পাকিস্তানের তোশাখানা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণাধীন একটি বিভাগ। এতে বিভিন্ন দেশের সরকার ও রাজ্যের প্রধান এবং বিদেশি বিশিষ্ট ব্যক্তি, শাসক, সংসদ সদস্য, আমলা ও কর্মকর্তাদের দেয়া মূল্যবান উপহার সংরক্ষণ করা হয়।
তোশাখানার নিয়ম অনুযায়ী, প্রাপ্ত উপহার ও এ জাতীয় অন্যান্য উপকরণের বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে প্রতিবেদন জমা দিতে হয়।
২০১৮ সালে দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে উপহারের বিবরণ প্রকাশ করতে রাজি ছিল না ইমরানের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) সরকার।
পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার ইমরান খান ২০১৮ সালে দেশটির প্রধানমন্ত্রী হন। চলতি বছরের এপ্রিলে পার্লামেন্টে আস্থা ভোটে ক্ষমতা হারান তিনি।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশটির ইতিহাসে আস্থা ভোটে ক্ষমতা হারানো একমাত্র প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।