ইন্দোনেশিয়ার সেমেরু পর্বতে আগ্নেয়গিরি শুরুর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে দুই হাজার বাসিন্দাকে পূর্ব জাভা দ্বীপ থেকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
দেশটির জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থার (বিএনপিবি) রোববার প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। তাদের স্কুল, গ্রাম্য কমিউনিটি হলসহ বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানে রাখা হয়েছে।
বিএনপিবির প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা গেছে, লাভার সঙ্গে বের হওয়া ঘন ধূসর ধোঁয়ার কুণ্ডলী ও ছাইয়ে ঢেকে যাচ্ছে একের পর এক গ্রাম।
উদগিরণের ছাই-ধোঁয়া থেকে বাসিন্দাদের সুরক্ষা দিতে এরই মধ্যে ২০ হাজারের বেশি ফেস মাস্ক বিতরণ করা হয়েছে।
এর আগে স্থানীয় সময় রোববার রাত ২টা ৪৫ মিনিটে সেমেরু পর্বতের আগ্নেয়গিরিতে অগ্ন্যুৎপাত শুরু হয়।
ইন্দোনেশিয়ার জাভা দ্বীপের সেমেরু পর্বতের আগ্নেয়গিরি থেকে উদগীরিত লাভা, ধোঁয়া, ছাইসহ অন্যান্য উপাদান পর্যবেক্ষণ করছেন উদ্ধারকর্মীরা। ছবি: এপি
ওই পার্বত্য এলাকা থেকে সাধারণ মানুষকে দূরে থাকার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এর পরপরই ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে অনেকে বাসিন্দাকে পালাতে দেখা গেছে। তাদের উদ্ধারে কাজ করছে সরকারি সংস্থা।
এদিকে প্রতিবেশী দেশ জাপানের আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, অগ্ন্যুৎপাতের পর আকাশের প্রায় ১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত ছাই ও ধোঁয়ার কুণ্ডলী তৈরি হয়। অগ্ন্যুৎপাতের পর সুনামি হতে পারে বলে আশঙ্কার কথাও জানিয়েছে সংস্থাটি।
ইন্দোনেশিয়ার সেন্টার ফর ভলক্যানোলোজি অ্যান্ড জিওলজিক্যাল হ্যাজার্ড মিটিগেশন (পিভিএমজি) একটি বিবৃতিতে জানায়, অগ্ন্যুৎপাতের সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
সেমেরু পর্বত দেশটির রাজধানী জাকার্তা থেকে ৬৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত। রোববার রাত ২টা ৪৫ মিনিটে এই অগ্ন্যুৎপাত শুরু হয়।
গত মাসে ইন্দোনেশিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পের পরই অগ্ন্যুৎপাতের ঘটনা ঘটে। ওই ভূমিকম্পে তিন শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়। বিশ্বে যে কয়েকটি দেশে সক্রিয় আগ্নেয়গিরি আছে ইন্দোনেশিয়া তাদের মধ্যে একটি। এগুলোতে প্রায়ই অগ্ন্যুৎপাতের ঘটনা ঘটে।