বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

হতাশা থেকেই চীনে বিক্ষোভ: শি চিনপিং

  •    
  • ২ ডিসেম্বর, ২০২২ ২৩:২৮

চিনপিং বলেন, ‘তিন বছর ধরে চলা করোনা মহামারির কারণে শিক্ষার্থীরা হতাশ হয়ে পড়েছে। এটি মূলত বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া শিক্ষার্থী ও কিশোরদের আন্দোলন।’

চীনে সরকারের ‘জিরো করোনা’ নীতির বিরুদ্ধে চলছে তুমুল বিক্ষোভ। নিজের শাসনামলে এমন বিক্ষোভ দেখেনি চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিনপিং। এ কারণে হয়ত এতদিন মুখে কুলুপ এঁটেছিলেন চীনা প্রেসিডেন্ট।

অবশেষে বিক্ষোভ প্রশ্নে মুখ খুলেছেন চিনপিং। বলেছেন, তিন বছর ধরে করোনার বিধিনিষেধের কারণে শিক্ষার্থীরা তাদের নিয়মিত ক্লাসে অংশ নিতে না পেরে হতাশ হয়ে পড়েছে। এ কারণে তারা বিক্ষোভ করছে।

সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এ কথা জানায়। এতে বলা হয়, বেইজিংয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট চার্লস মিশেলের সঙ্গে বৃহস্পতিবার বৈঠক করেছেন চিনপিং।

এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার বরাতে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, টিকা ব্যবহারের জন্য চীনের প্রেসিডেন্টকে অনুরোধ করেছেন মিশেল। পরে তিনি চীন সরকারের করোনানীতি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।

জবাবে চিনপিং বলেন, ‘তিন বছর ধরে চলা করোনা মহামারির কারণে শিক্ষার্থীরা হতাশ হয়ে পড়েছে। এটি মূলত বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া শিক্ষার্থী ও কিশোরদের আন্দোলন।’

ইউরোপিয়ান কর্মকর্তারা বলছেন, বৈঠকে চীনা প্রেসিডেন্টের আচরণে এটা মনে হচ্ছে যে বিধিনিষেধ শিথিলে প্রস্তুত তিনি।

বৈঠকে চীনা প্রেসিডেন্ট বয়স্কদের টিকা দেয়ার বিষয়ে উদ্বেগ জানান।

চীনের সরকারের হিসাব অনুযায়ী, ষাটোর্ধ্বদের মধ্যে ৬৮ দশমিক ৭ শতাংশ মানুষ করোনার তিন ডোজ টিকা নিয়েছেন। আর আশি বছরের বেশি ৪০ দশমিক ৪ শতাংশ করোনা টিকার বুস্টার ডোজ পেয়েছেন।

‘জিরো করোনা’ নীতির বিরুদ্ধে চলা আন্দোলন চীনের বিভিন্ন শহরে ছড়িয়ে পড়েছে। দেশটির প্রধান শহরগুলোতে বিক্ষোভ থামাতে জোরদার করা হয়েছে নিরাপত্তা।

লকডাউনের মধ্যে চীনের পশ্চিমাঞ্চলীয় উরুমকি শহরে কদিন আগে একটি অ্যাপার্টমেন্ট ভবনে আগুনে ১০ জনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনার পর চীনের বিভিন্ন শহরে ‘জিরো করোনা’ নীতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভকারীরা এক পর্যায়ে চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিনপিংয়ের পদত্যাগ দাবি করেন। চীনের ক্ষমতাসীন দল কমিউনিস্ট পার্টি অফ চাইনা (সিপিসি) থেকেও তার পদত্যাগ চান বিক্ষোভকারীরা।

চীন সরকার এখন পর্যন্ত বিক্ষোভ নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু বলেনি। দেশটির সরকারি সম্প্রচারমাধ্যমগুলোতেও বিক্ষোভের খবর ব্যাপকভাবে ‘সেন্সর’ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ আছে।

চীনে সরকারবিরোধী আন্দোলন শুরুর পর পশ্চিমানেতা হিসেবে মিশেলই প্রথম দেশটিতে সফর করলেন।

এ বিভাগের আরো খবর