যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে ম্যাচের আগে নিজেদের ফুটবলারদের সতর্ক করেছে ইরান সরকার। তারা বলেছে, ‘ভদ্র আচরণ’ না করলে খেলোয়াড়দের পরিবারের সদস্যদের কারাদণ্ড দেয়া হতে পারে। একটি সূত্রের বরাতে সিএনএন এ খবর ছেপেছে।
সূত্র জানায়, ২১ নভেম্বর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচের আগে জাতীয় সংগীত গায়নি ইরানের ফুটবলাররা। এ ঘটনার পর ইরানের খেলোয়াড়দের সঙ্গে বৈঠক করে ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসের (আইআরজিসি)।
সেখানে ইরানের খেলোয়াড়দের বলা হয়, তারা জাতীয় সংগীত না গাইলে বা কোনো রাজনৈতিক আন্দোলনে অংশ নিলে তাদের পরিবার সহিংসতা এমনকি নির্যাতনের মুখে পড়তে হবে। এই সতর্কতায় হয়ত কাজ হয়েছে। শুক্রবার ওয়েলসের বিপক্ষে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচের আগে জাতীয় সংগীতে কণ্ঠ মেলাতে দেখা যায় ইরানের ফুটবলারদের। ম্যাচে ২-০ গোলে জয় পায় ইরান।
- আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রকে বিশ্বকাপ থেকে বের করে দেয়ার আহ্বান ইরানের
- আরও পড়ুন: ইরান ম্যাচের আগে ক্ষমা চাইলেন আমেরিকার কোচ
বিশ্বকাপে কাতারে কাজ করা ইরানের নিরাপত্তা সংস্থাগুলোকে ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করা সূত্রটি আরও জানায়, খেলোয়াড়রা যেন বিদেশি কারও সঙ্গে দেখা না করতে পারে এবং তারা যেন স্কোয়াডের বাইরে কারও সঙ্গে না মিশতে পারে সে জন্য আইআরজিসির কয়েক ডজন সদস্যকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। কাতারে ইরানের নিরাপত্তা বাহিনীর অনেক সদস্য আছেন যারা খেলোয়াড়দের তথ্য নিচ্ছে এবং পর্যবেক্ষণ করছেন।
সঠিকভাবে হিজাব না করার অভিযোগে ইরানের নৈতিকতা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার কুর্দি তরুণী মাহসা আমিনির মৃত্যু হয় গত ১৬ সেপ্টেম্বর। সেদিন থেকেই প্রতিবাদ ছড়িয়ে পড়ে গোটা ইরানে। আন্দোলনে এখন পর্যন্ত তিন শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন বলে জানান ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর জেনারেল আমিরালি হাজিজাদেহ ।
- আরও পড়ুন: ইরান-আমেরিকা ‘মহারণ’ কাতারে
এ আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইরানের একটি পতাকা পোস্ট করে। যেখানে ইরানের পতাকার মাঝে থাকা ইসলামি প্রজাতন্ত্রের প্রতীক বাদ দেয়া হয়। এ ঘটনায় পতাকা বিকৃতির অভিযোগ তুলে যুক্তরাষ্ট্রকে বিশ্বকাপ থেকে বের করে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে তেহরান। পতাকা বিকৃতির ঘটনায় ইতোমধ্যে ক্ষমা চেয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের হেড কোচ গ্রেগ বেরহাল্টার।