বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

খামেনির বিরুদ্ধে এবার তার ভাগনি সোচ্চার

  •    
  • ২৭ নভেম্বর, ২০২২ ২০:২৩

ফরিদা বলেন, ‘হে স্বাধীন মানুষেরা, আমাদের সঙ্গে থাকুন এবং আপনার সরকারকে বলুন এই খুনি ও শিশু-হত্যাকারী শাসনকে সমর্থন দেয়া বন্ধ করতে। এই শাসনব্যবস্থা কোনো ধর্মীয় নীতির প্রতি অনুগত নয়। তারা বলপ্রয়োগ ও ক্ষমতায় টিকে থাকা ছাড়া কোনো কিছু জানে না।’

নারীর পোশাকের স্বাধীনতার দাবিতে ইরানে চলা বিক্ষোভে অংশ নেয়াদের বিরুদ্ধে নিরাপত্তাবাহিনীর ভূমিকার কড়া সমালোচনা করেছেন দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির ভাগনি ফরিদা মোরাদখানি। তিনি বলেছেন, পুলিশের এমন আচরণের জবাবে তেহরানের সঙ্গে গোটা বিশ্বের সম্পর্ক ছিন্ন করা উচিত।

এক ভিডিও বার্তায় ফরিদা বলেন, ‘হে স্বাধীন মানুষে, আমাদের সঙ্গে থাকুন এবং আপনার সরকারকে বলুন এই খুনি ও শিশু-হত্যাকারী শাসনকে সমর্থন দেয়া বন্ধ করতে। এই শাসনব্যবস্থা কোনো ধর্মীয় নীতির প্রতি অনুগত নয়। তারা বলপ্রয়োগ ও ক্ষমতায় টিকে থাকা ছাড়া কোনো কিছু জানে না।

‘এখন সময় এসেছে সব স্বাধীন ও গণতান্ত্রিক দেশ ইরান থেকে তাদের প্রতিনিধিদের প্রতীকী প্রতিবাদের অংশ হিসেবে ফিরিয়ে নেয়ার। পাশাপাশি এই নৃশংস শাসকদের প্রতিনিধিদের নিজেদের দেশ থেকে বের করে দেয়া।’

ফরিদা মোরাদখানি পেশায় প্রকৌশলী। তারা বাবা ছিলেন ইরানের সরকারবিরোধীদের একজন। যদিও তিনি খামেনির বোনকে বিয়ে করছিলেন।

মানবাধিকারবিষয়ক বার্তা সংস্থা এইচআরএনএ জানায়, ২৩ নভেম্বর ফরিদাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপরই তার ভিডিও বার্তাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

এ নিয়ে খামেনির অফিস থেকে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।

ভিডিওটি শুক্রবার ইউটিউবে শেয়ার করেন ফরিদার ভাই ফ্রান্সের বাসিন্দা মাহমুদ মোরাদখানি। যিনি নিজেকে তার টুইটার অ্যাকাউন্টে ইসলামিক প্রজাতন্ত্রের বিরোধী এবং বিশিষ্ট ইরানি অধিকারকর্মী হিসেবে পরিচয় দেন।

২৩ নভেম্বর মাহমুদ মোরাদখানি জানান, তার বোনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ বছরের শুরুতেও ফরিদাকে গ্রেপ্তার করেছিল ইরানের গোয়েন্দারা। পরে তিনি জামিনে মুক্তি পান।

এইচআরএনএ জানায়, ফরিদাকে ১৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়ে তেহরানের এভিন কারাগারে রাখা হয়েছে।

এইআরএন-এর হিসাবে, ইরানে চলমান বিক্ষোভে ২৬ নভেম্বর পর্যন্ত ৪৫০ আন্দোলনকারী নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ৬৩ শিশু রয়েছে। এ ছাড়া নিরাপত্তা বাহিনীর ৬০ জন সদস্যও প্রাণ হারিয়েছেন নিহত হয়েছেন। এখন পর্যন্ত আটক আছেন ১৮ হাজার ১৭৩ জন।

সঠিকভাবে হিজাব না করার অভিযোগে ইরানের নৈতিকতা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার কুর্দি তরুণী মাহসা আমিনির মৃত্যু হয় গত ১৬ সেপ্টেম্বর। সেদিন থেকেই প্রতিবাদ ছড়িয়ে পড়ে গোটা ইরানে।

যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত রাজতন্ত্রকে উৎখাত করার মাধ্যমে ১৯৭৯ সালের ইরানে ইসলামি বিপ্লব ঘটে। এ বিপ্লবের চার বছর পর ইরানে হিজাব বাধ্যতামূলক করা হয়।

ফরিদার বাবা আলী মোরাদখানি আরঙ্গেহ একজন শিয়া ধর্মগুরু ছিলেন। খামেনির বোনের সঙ্গে বিয়ে এবং ইসলামিক প্রজাতন্ত্রের বিরুদ্ধে অবস্থানের কারণে কয়েক বছর তিনি লোকচক্ষুর অন্তরালে ছিলেন। সম্প্রতি তেহরানে তিনি মারা যান।

এ বিভাগের আরো খবর