বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শ্রদ্ধার মরদেহ ফ্রিজে রেখেই ডেটিংয়ে আফতাব

  •    
  • ২৬ নভেম্বর, ২০২২ ১৮:৪৪

মরদেহ ৩৫ টুকরা করে ৩০০ লিটার ধারণক্ষমতার ফ্রিজে প্রায় তিন সপ্তাহ রাখেন আফতাব। ফ্রিজ থেকে টুকরাগুলো কয়েক দিন ধরে শহরের বিভিন্ন জায়গায় ফেলেন তিনি।

লিভ ইন পার্টনার শ্রদ্ধা ওয়াকারকে হত্যার পর একজন নারী চিকিৎসকের সঙ্গে ডেটিং করেন ভারতের মুম্বাইয়ের বাসিন্দা আফতাব আমিন পুনাওয়ালা। ওই নারী যখন তার বাসায় আসেন, তখনও আফতাবের ফ্রিজেই ছিল শ্রদ্ধার মরদেহের খণ্ডিত অংশ।

দিল্লি পুলিশের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে এনডিটিভি

পুলিশ জানায়, শ্রদ্ধার সঙ্গে যে ডেটিং অ্যাপ থেকে পরিচয় হয় সেখান থেকেই ওই চিকিৎসকের সঙ্গে পরিচয় হয় আফতাবের।

মুম্বাইয়ের বাসিন্দা ২৮ বছরের যুবক আফতাব পুনাওয়ালা তার লিভ ইন পার্টনার ২৬ বছরের শ্রদ্ধা ওয়াকারের সঙ্গে দিল্লির ছাতারপুর এলাকার একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন। চলতি বছরের ১৮ মে তাদের মধ্যে তুমুল ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে সেদিন শ্রদ্ধাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন আফতাব।

পরে মরদেহ ৩৫ টুকরা করে ৩০০ লিটার ধারণক্ষমতার ফ্রিজে প্রায় তিন সপ্তাহ রাখেন। ফ্রিজ থেকে টুকরাগুলো কয়েক দিন ধরে শহরের বিভিন্ন জায়গায় ফেলেন তিনি। ৮ নভেম্বর শ্রদ্ধার বাবা বিকাশ মদন ওয়াকার মেয়ের খোঁজে মেহরাউলি পুলিশের কাছে অপহরণের অভিযোগ করেন। তার ভিত্তিতে ১২ নভেম্বর আফতাবকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

এর আগে দিল্লি পুলিশ জানায়, শ্রদ্ধার মরদেহের খণ্ডিত অংশ ফ্রিজে রেখেই আফতাব তার অ্যাপার্টমেন্টে আরেক নারীকে এনেছিলেন। তবে তখন ওই নারীর পরিচয় নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ।

এবার শেষ পর্যন্ত ওই নারীর পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। পুলিশ জানায়, ওই নারী একজন সাইকোলজিস্ট।

শ্রদ্ধার ওয়াকারের মৃত্যু নিয়ে এখনো অনেক ধোঁয়াশা রয়েছে। শুক্রবার দিল্লির রোহিনির ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে আফতাবের পলিগ্রাফ টেস্ট সম্পন্ন করেছে পুলিশ। এতে সে মিথ্যা তথ্য দিচ্ছে কি না তা যাচাই করা যাবে।

আরও পড়ুন: শ্রদ্ধার দেহাংশের সন্ধান দিয়েছি, আদালতে আফতাব

পলিগ্রাফ টেস্টে অভিযুক্তের সঙ্গে ওয়াকারের সম্পর্ক, সম্পর্কের টানাপোড়েন, মরদেহ কোথায় রাখা রয়েছে, কী ধরনের অস্ত্র দিয়ে হত্যা করা হয় তা জানতে চাওয়া হয়।

একজন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা এনএনআইকে জানিয়েছেন, কয়েকদিন মধ্যে এই পরীক্ষার ফল তদন্ত কর্মকর্তাদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। পুলিশ এখনো শ্রদ্ধার খুলি ও মরদেহের খণ্ডিত অংশ উদ্ধার করতে পারেনি। পাশাপাশি তাকে হত্যায় যেসব অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে তাও এখনো উদ্ধার হয়নি।

এ বিভাগের আরো খবর