ভারতের হরিয়ানার ফরিদাবাদে একটি স্যুটকেসে পাওয়া গেছে দেহাবশেষ। স্থানীয় পুলিশ ধারণা করছে, এটি ভারতের ফুড ব্লগার ও সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার আফতাব আমিন পুনাওয়ালার বান্ধবী শ্রদ্ধা ওয়াকারের। এনডিটিভির প্রতিবেদনে শুক্রবার এ তথ্য জানানো হয়।
মুম্বাইয়ের বাসিন্দা ২৮ বছরের যুবক আফতাব পুনাওয়ালা তার লিভ ইন পার্টনার ২৬ বছরের শ্রদ্ধা ওয়াকারের সঙ্গে দিল্লির ছাতারপুর এলাকার একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন। চলতি বছরের ১৮ মে তাদের মধ্যে তুমুল ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে সেদিন শ্রদ্ধাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন আফতাব। তারপর মরদেহ ৩৫ টুকরো করে সেগুলোকে রাখার জন্য ৩০০ লিটারের একটি ফ্রিজ কেনেন তিনি। পরের ১৮ দিনে মেহরাউলি জঙ্গলের বিভিন্ন এলাকায় টুকরোগুলো ফেলে আসেন আফতাব।
৮ নভেম্বর শ্রদ্ধার বাবা বিকাশ মদন ওয়াকার মেয়ের খোঁজে মেহরাউলি পুলিশের কাছে অপহরণের অভিযোগ করেন। তার ভিত্তিতে ১২ নভেম্বর আফতাবকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। জেরার মুখে তিনি হত্যার করা স্বীকার করেন। জানান, শ্রদ্ধা তাকে বিয়ে করতে চেয়েছিল। এ নিয়ে ঝগড়ার এক পর্যায়ে শ্রদ্ধাকে তিনি খুন করেন।
ফরিদাবাদ পুলিশ এই দেহাবশেষ উদ্ধারের পর দিল্লি পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। পুলিশ জানায়, দেহাবশেষ প্লাস্টিকের ব্যাগ এবং বস্তায় মোড়ানো ছিল। ওই স্যুটকেসের পাশ থেকে কিছু কাপড় ও একটি বেল্ট পাওয়া গেছে।
বিবৃতিতে ফরিদাবাদ পুলিশ জানায়, মরদেহ যেন শনাক্ত করা না যায়, সে কারণে অন্য কোথাও খুনের পর মরদেহ এখানে ফেলে দেয়া হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
- আরও পড়ুন: প্রেমিকাকে ৩৫ টুকরো করে ফ্রিজে
দিল্লি পুলিশের ধারণা, এই মরদেহ শ্রদ্ধা ওয়াকার হত্যামামলার সঙ্গে সম্পর্কিত।
পুলিশ জানায়, মরদেহটি কয়েক মাস আগের। তবে এটি পুরুষ না নারীর তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
একটি সূত্র বার্তা সংস্থা এএনআইকে জানায়, ফরিদাবাদ পুলিশ ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করেছে। দিল্লি পুলিশও ডিএনএ টেস্ট করবে।
এদিকে শুক্রবার পুলিশ জানায়, দিল্লির বাসায় বান্ধবী শ্রদ্ধা ওয়াকারকে হত্যার পর আফতাব আমিন পুনাওয়ালা পাঁচটি ছুরি দিয়ে দেহ টুকরা করেন । দিল্লি পুলিশ পাঁচ থেকে ছয় ইঞ্চি লম্বা পাঁচটি ছুরি উদ্ধার করেছে, যেগুলোকে ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।