বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ধ্বংসস্তূপে ৪৮ ঘণ্টা থেকেও অক্ষত ৬ বছরের আজকা

  •    
  • ২৪ নভেম্বর, ২০২২ ১০:১৮

শিশুটির মামা সালমান আলফারিসি বলেন, ‘আজকা এখন ভালো আছে, সে অক্ষত আছে। চিকিৎসক জানিয়েছেন, শিশুটি শারীরিকভাবে অনেকটা দুর্বল হয়ে পড়েছে। কারণ গত দুই দিন সে কিছু খেতে পায়নি।’

ইন্দোনেশিয়ার ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত বাড়ির ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে ৪৮ ঘণ্টা পর জীবিত ও অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে ৬ বছরের শিশুকে।

উদ্ধারকারী দল সিয়ানজুরে ধসে পড়া বাড়ির ধ্বংসস্তূপ থেকে আজকা মাওলানা মালিক নামের ছেলেকে স্থানীয় সময় বুধবার অক্ষত অবস্থায় বের করে আনে। শিশুটি একটি ম্যাট্রেসের কারণে আঘাত থেকে বেঁচে যায়।

তার দাদির মরদেহ সেই রুমেই পাওয়া গেছে। সোমবার আঘাত হানা ভূমিকম্পে মারা গেছেন মালিকের মাও।

স্থানীয় ফায়ার ডিপার্টমেন্টের অনলাইনে শেয়ার করা একটি ভিডিওতে দেখা যায়, উদ্ধারকারী দল শিশুটিকে নিরাপদে বের করে আনার পর তাকে শান্ত দেখাচ্ছিল।

শিশুটির মামা সালমান আলফারিসি বলেন, ‘আজকা এখন ভালো আছে, সে অক্ষত আছে। চিকিৎসক জানিয়েছেন, শিশুটি শারীরিকভাবে অনেকটা দুর্বল হয়ে পড়েছে। কারণ গত দুই দিন সে কিছু খেতে পায়নি।’

ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হাসপাতালের বাইরে অস্থায়ী তাঁবুতে আজকার হাত ধরেছিলেন তিনি।

২২ বছর বয়সী তার মামা বলেন, ‘সোমবারের ভূমিকম্পে আজকা তার মাকে হারিয়েছে। সে এখন বাড়ি যেতে চায়। ঘুমাতে যাওয়ার আগে বারবার সে তার মায়ের কথা জিজ্ঞাসা করছে। আমরা কিছু জবাব দিতে পারিনি।’

তিনি বলেন, সিজেনডিলে ভাগ্নে ও বোনের সঙ্গে তাদের বসার ঘরে বসে ছিলেন যখন এই বিপর্যয় ঘটে। আমিসহ ভবনের অনেকে কোনোভাবে পালাতে সক্ষম হই। কিন্তু আমার বোন ও ছেলে আজকা ও আজকার দাদি আটকা পড়ে। এটা কেয়ামতের মতো অনুভূত হয়েছিল।’

ঘনবসতিপূর্ণ জাভা দ্বীপের পশ্চিমে সোমবার ৫ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭১ জনে। তবে উদ্ধারকর্মী ও ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ আশঙ্কা করছে, হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে, কারণ ভারি বৃষ্টির কারণে কিছু প্রত্যন্ত অঞ্চলে এখনও পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। এখনও ৪০ জন নিখোঁজ রয়েছে এবং ২ হাজারের বেশি আহত হয়েছে।

২০১৮ সালের পর এটি ইন্দোনেশিয়ার সবচেয়ে মারাত্মক ভূমিকম্প ছিল। সুলাওয়েসির পালু শহরে সমুদ্রের নিচে ৭ দশমিক ৫ মাত্রার ওই ভূমিকম্পের আঘাতে সৃষ্ট সুনামি ও ভূমিধসে ৪ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়।

এ বিভাগের আরো খবর