পাকিস্তানে নতুন সেনাপ্রধান নিয়োগের পরই সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে দেখে নেয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ। আগামী তিন দিনের মধ্যে সেনাপ্রধান নিয়োগের ইঙ্গিত দিয়ে পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন।
পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আগামী দুই-তিন দিনের মধ্যে সেনাপ্রধান নিয়োগ হয়ে যাবে। এরপরই উত্তেজনা শেষ হবে, তখন আমরা ইমরান খানকে মোকাবিলা করব।’
এদিকে সোমবার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ সম্ভাব্য সেনাপ্রধানদের নাম প্রস্তাব করে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে পাকিস্তানের নতুন সেনাপ্রধান নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়।
এর আগে টুইট বার্তায় পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ জানান, শিগগিরই সেনাপ্রধান নিয়োগের প্রক্রিয়া শেষ হবে। টানা ছয় বছর দায়িত্ব পালন শেষে ২৯ নভেম্বর অবসরে যাচ্ছেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়া। তবে তার মেয়াদ শেষ হওয়ার কয়েক দিন আগে সামনে আসে বিস্ফোরক এক তথ্য। পাকিস্তানভিত্তিক অনুসন্ধানমূলক প্রতিষ্ঠান ফ্যাক্ট ফোকাস জানিয়েছে, গত ছয় বছরে বিলিয়নিয়ারের খাতায় নাম লিখিয়েছেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধানের পরিবারের সদস্যরা।
বিভিন্ন তথ্যের ভিত্তিতে অনুসন্ধানমূলক প্রতিষ্ঠানটি বলছে, জেনারেল বাজওয়ার পরিবারের জ্ঞাত সম্পদের পরিমাণ ১২ দশমিক ৭ বিলিয়ন পাকিস্তানি রুপি। বাজওয়ার স্ত্রী আয়েশার ২০১৬ সালে কোনো সম্পদ না থাকলেও বর্তমানে তার ২ দশমিক ২ বিলিয়ন রুপির সম্পদ রয়েছে।
জেনারেল বাজওয়া ও তার স্ত্রী আয়েশা
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডন জানিয়েছে, ২৭ নভেম্বরের আগেই নতুন সেনাপ্রধান নিয়োগ হবে। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ট্রিবিউনের প্রতিবেদনে বলা হয়, পাকিস্তানের ৬ জন সিনিয়র লেফটেন্যান্ট সেনাপ্রধান হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে আছেন। এই ৬ জন হলেন আসিম মুনির, সাহির শামশাদ মির্জা, আজহার আব্বাস, নোমান মেহমুদ, ফৈজ হামিদ ও মোহাম্মদ আমির।
সেনাপ্রধান নিয়োগ প্রশ্নে ১৮ নভেম্বর পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান জানান, সেনাবাহিনীর পদোন্নতি প্রক্রিয়ায় তাদের দৃঢ় বিশ্বাস রয়েছে।
এদিকে পাকিস্তানের আরেক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শহীদ খাকান আব্বাসি অভিযোগ করেছেন, পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) প্রধান ইমরান খান সেনাপ্রধান নিয়োগে প্রভাব ফেলতেই লংমার্চ করছেন।
আব্বাসি বলেন, ’২৬ নভেম্বর রাওয়ালপিন্ডিতে ঢোকার কথা জানিয়েছেন ইমরান খান। ওই সময় পাকিস্তানের সেনাপ্রধান নিয়োগ হবে। শুধু প্রধানমন্ত্রীরই সেনাপ্রধান নিয়োগের অধিকার রয়েছে।’