বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রুশ দখলমুক্ত খেরসনে ইউক্রেনীয়দের উচ্ছ্বাস

  •    
  • ১২ নভেম্বর, ২০২২ ০৯:২৯

ইউক্রেনের সেনারা এই শহরে ফিরে এলে তাদের অভ্যর্থনা জানায় উচ্ছ্বসিত জনতা। প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি বলেন, ‘আমাদের প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা শহরে পৌঁছে গেছেন। খেরসনের নিয়ন্ত্রণ এখন আমাদের সেনাদের হাতে।’ মস্কো জানিয়েছে, খেরসন থেকে ৩০ হাজার রুশ সেনা ও পাঁচ হাজারের মতো সাঁজোয়া যান ও সমরাস্ত্র সরিয়ে নেয়া হয়েছে।

রুশ বাহিনীর দখলে থাকা ইউক্রেনের কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ শহর খেরসন ফিরে পেয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন হাজারো ইউক্রেনীয়। দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন জনতার প্রতিরোধের মুখে রুশ বাহিনী সম্পূর্ণভাবে খেরসন ছাড়তে বাধ্য হয়েছে।

স্থানীয় সময় শুক্রবার সন্ধ্যায় খেরসনের ঐতিহাসিক মাইদান স্কোয়ারে জড়ো হয়ে ‘খেরসন মুক্তি দিবস’ উদযাপন করেন হাজারো মানুষ। এ সময় তারা জাতীয় পতাকা উঁচিয়ে ধরে রাশিয়াবিরোধী স্লোগান দিতে থাকেন।

ইউক্রেনের সেনারা এই শহরে ফিরে এলে তাদের অভ্যর্থনা জানায় উচ্ছ্বসিত জনতা।

সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেয়া ভাষণে প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি বলেন, ‘আমাদের প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা শহরে পৌঁছে গেছেন। খেরসনের নিয়ন্ত্রণ এখন আমাদের সেনাদের হাতে। রুশ সেনাবহর ফিরে যাওয়ার ওপর নজর রাখছে আমাদের স্পেশাল বাহিনী।’

মস্কো জানিয়েছে, খেরসন থেকে ৩০ হাজার রুশ সেনা ও পাঁচ হাজারের মতো সাঁজোয়া যান ও সমরাস্ত্র সরিয়ে নেয়া হয়েছে।

এর আগে বুধবার কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ শহর খেরসন থেকে রুশ সেনাদের সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ দেয় মস্কো।

গত দুই দিনে দক্ষিণ ইউক্রেনীয় শহর খেরসনের পাশে ডিনিপ্রো নদীর পশ্চিম তীর থেকে অধিকাংশ রুশ সেনা ও যান সরিয়ে নেয়া হয়।

ধারণা করা হচ্ছে, রুশ সেনারা খেরসন থেকে সরে গেলেও তারা অবস্থান নিয়েছেন ডিনিপ্রো নদীর পূর্ব তীরে।

গুরুত্বপূর্ণ খেরসন শহর থেকে সেনা সরিয়ে নেওয়া মস্কোর জন্য একটি বড় ধরনের ধাক্কা এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে বাঁক পরিবর্তনের সম্ভাবনা হিসেবে দেখছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা।

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের প্রতিরক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা এক প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছেন, খেরসন থেকে সেনা সরিয়ে নেয়া সমর কৌশলের একটি অংশ। তিনি এটিকে অপমানজনক পরাজয় বলতে নারাজ।

বুধবার রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু তার সেনাদের কৌশলগত দক্ষিণ ইউক্রেনীয় শহর খেরসনের পাশে ডিনিপ্রো নদীর পশ্চিম তীর থেকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দেন।

খেরসন শহরটি ইউক্রেনের একমাত্র আঞ্চলিক রাজধানী, যা ফেব্রুয়ারিতে হামলার পর দখল করে নেয় রাশিয়া। এরপর ইউক্রেনীয় বাহিনীর পাল্টা আক্রমণের কেন্দ্রবিন্দু ছিলও এই শহরটি। ২০১৪ সালে রাশিয়ার দখলকৃত ক্রিমিয়া উপদ্বীপে যাওয়ার একমাত্র স্থলপথ হচ্ছে এই খেরসন শহর।

ডিনিপ্রোর নদীর মুখে এই শহরটির অবস্থান। এই নদীটি ইউক্রেনকে দুই ভাগে ভাগ করেছে।

প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সেপ্টেম্বরে যে চারটি অঞ্চলকে রাশিয়ার সঙ্গে সংযুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছিলেন তার মধ্যে খেরসন অঞ্চল একটি।

গত ফেব্রুয়ারি থেকে ইউক্রেনে হামলা চালাচ্ছে রাশিয়া। প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে ইউক্রেনও। যুদ্ধে প্রতিদিনই আসছে প্রাণহানির খবর।

পশ্চিমাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ রাশিয়াকে এই হামলা বন্ধের অনুরোধ করলেও তাতে সাড়া দেননি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। কয়েক দফা দুই দেশের বৈঠকেও আসেনি কোনো সমাধান।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব পড়েছে সারা বিশ্বে। বেড়েছে জ্বালানি ও খাদ্যপণ্যসহ নানা পণ্যের দাম। ইউক্রেন থেকে বাস্তুচ্যুত হচ্ছে অসংখ্য মানুষ।

এ বিভাগের আরো খবর