বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনার জন্য যে শর্ত দিলেন জেলেনস্কি

  •    
  • ৮ নভেম্বর, ২০২২ ২১:৫১

এর আগে জেলনস্কি বলেছিলেন, ‘পুতিন ক্ষমতায় থাকলে তিনি কোনো আলোচনায় বসবেন না।’

রাশিয়ার সঙ্গে সম্ভাব্য আলোচনার বিষয়ে একটি শর্ত জুড়ে দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। আর সেই শর্তটি হলো মস্কোকে আঞ্চলিক অখণ্ডতার বিষয়ে কিয়েভকে নিশ্চয়তা দিতে হবে।

সোমবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট এই শর্ত দেন। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার একটি লাইভ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

জাতিসংঘের জলবায়ু বিষয়ক সম্মেলনে বক্তব্য দেয়ার আগে সোমবার জেলেনস্কি বলেছেন, ‘রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনার প্রধান শর্ত হলো- ইউক্রেনের আঞ্চলিক অখণ্ডতা পুনরুদ্ধার।’

যদিও এর আগে জেলনস্কি বলেছিলেন, ‘পুতিন ক্ষমতায় থাকলে তিনি কোনো আলোচনায় বসবেন না।’

এদিকে মঙ্গলবার জাতিসংঘের জলবায়ু বিষয়ক সম্মেলন কপ-২৭ এ ভার্চ্যুয়ালি দেয়া এক ভাষণে চলমান যুদ্ধে যে ক্ষতি হয়েছে তার ক্ষতিপূরণ দিতে মস্কোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জেলেনস্কি।

এদিকে রুশ মিসাইল হামলার কারণে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের মানুষ এখন বিদ্যুৎ এবং পানিবিহীন অবস্থায় মানবেতর দিন কাটাচ্ছেন। সেখানকার মানুষদের প্রায় ১২ ঘণ্টা বিদ্যুৎ ছাড়াই থাকতে হচ্ছে।

রোববার কিয়েভ শহরের মেয়র ভিতালি ক্লিৎসকো বলেছেন, শহরটি পুরোপুরি বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে। এমন পরিস্থিতি হলে কিয়েভ ছেড়ে বাসিন্দাদের অন্য জায়গায় সরে যাওয়ার প্রস্তুতি নিতে হবে।

মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএন কিয়েভের কিছু বাসিন্দার সঙ্গে বিদ্যুৎ সংকট নিয়ে কথা বলেছে।

এ নিয়ে ২১ বছর বয়সী কফিশপ কর্মী আনা এরমান্ট্রাউট জানান, সোমবার তিনি যখন সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে কাজের জন্য যান তখন বিদ্যুৎ ছিল না। এর দু ঘণ্টা পর বিদ্যুৎ আসলেও বেলা ১২টার দিকে আবার চলে যায়। এতে তার বিক্রি কমে গেছে।

মারিয়া লিটভিনচুক নামে কিয়েভের এক নাপিত জানান, ঘন ঘন বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় তিনি ১ হাজার ডলার দিয়ে একটি জেনারেটর কিনেছেন। তবে সেটিও কাজ করছে না। প্রত্যেক জনের চুল কাটতে তিনি নেন ৬ ডলার। তবে বিদ্যুৎ না থাকায় তার ব্যবসায় ক্ষতি হচ্ছে।

মারিয়া জানান, কিয়েভে লোক সরানো শুরু হলে তিনি গ্রামে চলে যাবেন।

রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধের কারণে ইউক্রেনের অর্থনৈতিক পরিস্থিতিও ক্রমশ খারাপের দিকে যাচ্ছে। যুদ্ধের কারণে ইউক্রেনের অর্থনীতি চলতি বছর ৪০ শতাংশ সংকুচিত হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

এ বিভাগের আরো খবর