বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বাইডেন-ট্রাম্পের ভবিষ্যৎ নির্ধারণী নির্বাচন শুরু

  •    
  • ৮ নভেম্বর, ২০২২ ১৯:২০

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের এলাকাগুলোর ফলাফল পেতে এবং কংগ্রেসের নিয়ন্ত্রণ কার কাছে যাচ্ছে, তা পুরোপুরি নিশ্চিত হতে কয়েক দিন কিংবা কয়েক সপ্তাহ লেগে যেতে পারে।

শুরু হলো যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যবর্তী নির্বাচন। এ নির্বাচনের ওপর নির্ভর করছে আমেরিকার বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ।

গ্রিনিচমান সময় মঙ্গলবার বেলা ১১টায় (বাংলাদেশ সময় বিকেল ৫টা) ভোট শুরু হয়। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের চার বছর মেয়াদের মাঝামাঝি সময়ে এই নির্বাচন হয়, তাই একে মধ্যবর্তী নির্বাচন বলা হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের আছে দুটি কক্ষ সিনেট ও হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস। আইন তৈরির জন্য কংগ্রেসের এই দুটি কক্ষ একসঙ্গে কাজ করে।

সিনেট হচ্ছে কংগ্রেসের ১০০ সদস্যের উচ্চকক্ষ। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিটি অঙ্গরাজ্য, তাদের আকার যা-ই হোক, দুজন করে সিনেট সদস্য নির্বাচিত করে। সিনেটররা নির্বাচিত হন ছয় বছর মেয়াদের জন্য। প্রতি দুই বছর পরপর সিনেটের এক-তৃতীয়াংশ আসনের জন্য নির্বাচন হয়। এবার ৩৫ জন সিনেটর নির্বাচিত হবেন।

হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস বা প্রতিনিধি পরিষদে (যাকে সংক্ষেপে হাউস বলে ডাকা হয়) সদস্য আছেন ৪৩৫ জন। প্রত্যেক সদস্য তাদের অঙ্গরাজ্যের একটি নির্দিষ্ট ডিস্ট্রিক্ট বা জেলার প্রতিনিধিত্ব করেন। তারা দুই বছর মেয়াদের জন্য নির্বাচিত হন। কাজেই এবার যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যবর্তী নির্বাচনে প্রতিনিধি পরিষদে সব আসনের জন্যই নির্বাচন হবে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের এলাকাগুলোর ফলাফল পেতে এবং কংগ্রেসের নিয়ন্ত্রণ কার কাছে যাচ্ছে, তা পুরোপুরি নিশ্চিত হতে কয়েক দিন কিংবা কয়েক সপ্তাহ লেগে যেতে পারে।

ডেমোক্র্যাট নেতারা প্রচারণায় বলছেন, মধ্যবর্তী নির্বাচনে রিপাবলিকানরা জয় পেলে গর্ভপাতের অধিকার হরণসহ দেশের বিভিন্ন আইনে পরিবর্তন নিয়ে আসবে। এতে যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্র হুমকিতে পড়বে।

অন্যদিকে রিপাবলিকান নেতারা বলেছেন, দেশের জনগণ ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতিতে বাইডেনের নীতিমালাগুলো দেখতে দেখতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছে।

আমেরিকার কংগ্রেসে বাইডেনের দল ডেমোক্র্যাটদের সামান্য সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে। এ সময়ের মধ্যে বাইডেন এই সংখ্যাগরিষ্ঠতার মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তন, আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ন্ত্রণ, অবকাঠামো খাতে বিনিয়োগ এবং দরিদ্র শিশুদের জন্য নতুন আইন চালু করতে পেরেছেন।

পার্লামেন্টের দুটি কক্ষের মধ্যে কোনো একটি যদি রিপাবলিকানদের হাতে চলে যায়, তাহলে ডেমোক্র্যাটদের আনা বিলগুলো কংগ্রেসে পাস হওয়া তারা ঠেকিয়ে দিতে পারবে। এতে জটিলতা তৈরি হবে।

সোমবার হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের বাইডেন জানান, তার বিশ্বাস ডেমোক্র্যাটরা সিনেটে জয় পাবে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, মধ্যবর্তী নির্বাচনের মাধ্যমে কংগ্রেসের ক্ষমতা কাদের কাছে যাচ্ছে সেটি নির্ধারিত হবে। এ ছাড়া এই নির্বাচন ২০২৪ সালে প্রেসিডেন্ট পদে কারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন সে সম্পর্কেও ধারণা দিতে পারবে। কংগ্রেসে যাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকবে সেই পক্ষের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এগিয়ে থাকবেন।

এবারের মধ্যবর্তী নির্বাচনের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নেতৃত্বের ওপর জনগণ কতটা সন্তুষ্ট তা বোঝা যাবে। পাশাপাশি এই নির্বাচন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হাতকে হয় শক্তিশালী করবে, নয়তো তার সব আশা গুঁড়িয়ে দিতে পারে।

ইতোমধ্যেই ট্রাম্প জানিয়েছেন, ২০২৪ সালে তিনি আবারও মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। এই নির্বাচনে তার ওপর কোনো ভোট না হলেও তার নির্বাচিত কয়েক ডজন প্রার্থী যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে গুরুত্বপূর্ণ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের চেয়ে মধ্যবর্তী নির্বাচনে সাধারণত কম ভোট পড়ে। তবে এবার যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ভোটারদের উৎসাহ উদ্দীপনা দেখা গেছে।

আমেরিকার জর্জিয়ার আটলান্টা শহরের শিক্ষার্থী লুকে ওসুয়াগউ এএফপিকে বলেন, ‘আমি শুধু বলব, ভোট, ভোট, ভোট দিন।’

৪৫ বছর বয়সী জর্জিয়ার বাসিন্দা আলেথিয়া ম্যাকক্লেনটন বলেন, ‘আপনি যদি ভোট না দেন তাহলে আপনি সমাজের জন্য কিছু পারছেন না।’

এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যবর্তী নির্বাচনে ৪ কোটি আগাম ভোট পড়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর