যুক্তরাষ্ট্রের হাউস স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির স্বামীর ওপর ২৮ অক্টোবরের হামলার ঘটনা দেশটিতে বাড়িয়ে দিয়েছে নির্বাচনী সহিংসতার ভয়।
সোমবার এক শোভাযাত্রায় পেলোসিকে ডনাল্ড ট্রাম্প ‘জানোয়ার’ (Animal) বলে অভিহিত করায় সেই ভয় আরও জোরদার হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে সহিংসতার আশঙ্কা নিয়ে মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে প্রকাশ করেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
দেশটির মধ্যবর্তী নির্বাচনে ডনাল্ড ট্রাম্পের প্রতিদ্বন্দ্বিতার গুঞ্জনে নির্বাচনকর্মী ও ভোটারদের হুমকি ও হয়রানির অভিযোগ উঠেছে সাবেক এই প্রেসিডেন্টের সমর্থকদের বিরুদ্ধে।
এসবের মাঝেই দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বোভি স্টেট ইউনিভার্সিটিতে এক বক্তৃতায় ‘গণতন্ত্র ঝুঁকির মধ্যে আছে’ জানিয়ে তা রক্ষার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন জনগণের প্রতি।
যদিও আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী সোমবার পর্যন্ত নির্বাচনসংক্রান্ত কোনো হুমকির নির্দিষ্ট ও নির্ভরযোগ্য তথ্য পায়নি বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস। নির্বাচনী সহিংসতা নিরসনে সারা দেশে ৬৪টি স্থানে ভোট পর্যবেক্ষণ করবে বলে জানিয়েছে মার্কিন বিচার বিভাগ।
ভোটের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করা সংস্থা ‘যুক্তরাষ্ট্র নির্বাচন প্রকল্প’ এর তথ্যানুসারে, মধ্যবর্তী নির্বাচনে দেশটির ৪ কোটি ৩০ লাখেরও বেশি নাগরিক ইতোমধ্যেই ডাকযোগে বা সশরীরে ভোটদান করেছেন।
‘নির্বাচনে কংগ্রেসের স্পষ্ট নিয়ন্ত্রণ আছে’ জানিয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘এখন পর্যন্ত ভোট কার্যক্রমে উল্লেখযোগ্য কোনো সমস্যা দেখা যায়নি। তীব্র প্রতিযোগিতার দৃশ্য সামনে আসতে আরও কয়েক দিন বা সপ্তাহ পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।’
দেশটির সবচেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনী এলাকা জর্জিয়ার কোব কাউন্টিতে ৭১৬ জন ভোটারের জন্য ভোটদানের সময়সীমা ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নির্বাচন কর্মকর্তারা। ওই ৭১৬ জন ভোটার ডাকযোগে ভোটের আবেদন করার পরও ব্যালট না পাওয়ায় তাদের জন্য বাড়ানো হয়েছে ভোটের সময়সীমা।
তবে ডাকযোগে ভোটের আবেদন করে ব্যালট না পাওয়া অনেকেই সশরীরে ভোট দিতে গেছেন শেষ পর্যন্ত।
ডাকযোগে ভোটদানের ব্যালট না পেয়ে ওয়াশিংটন থেকে ৬ ঘণ্টা ভ্রমণ করে কোব কাউন্টিতে ভোট দিতে আসা ২০ বছরের অ্যালিস মার্টিন বলেন, ‘সশরীরে ভোট দিতে আসায় বেশ কয়েকটা ক্লাসে উপস্থিত থাকতে পারলাম না। তবে আমি মনে করি, শেষ পর্যন্ত আমার এই শ্রম বৃথা যাবে না।’