যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যবর্তী নির্বাচনে সাবেক আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের রিপাবলিকান পার্টিকে সমর্থন দিতে দেশটির জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক।
সোমবার একটি টুইট বার্তায় মাস্ক এ আহ্বান জানান।
ওই টুইটে কেন মাস্ক রিপাবলিকানদের পক্ষে ভোট চান সেটির ব্যাখ্যাও দিয়েছেন। মাস্ক বলেন, ‘স্বাধীনমনা ভোটারদের জন্য: ক্ষমতার ভাগাভাগি উভয় দলের সবচেয়ে বাড়াবাড়িকে আটকায়। তাই আমি রিপাবলিকান পার্টিকে ভোট দেয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’
টুইটেে মাস্ক বলেন, ‘কট্টর ডেমোক্র্যাট বা রিপাবলিকানরা কখনোই অন্য পক্ষকে ভোট দেয় না, তাই স্বাধীন ভোটাররাই আসলে সিদ্ধান্ত নেয় কে দায়িত্বে থাকবে।’
এই প্রথমবারের মতো আমেরিকান রাজনীতি নিয়ে টুইট করলেন ইলন মাস্ক।
অনেক নাটকীয়তার পর গত ২৭ অক্টোবর ৪৪ বিলিয়ন ডলারে টুইটার কিনে নেয়ার পর একের পর প্রতিষ্ঠানটিতে এক কঠোর নীতিমালা আরোপ করেন নতুন এই মালিক। এরইমধ্যে টুইটারের বেশ কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তাসহ ৫০ শতাংশ কর্মীকে ছাঁটাই করেছেন তিনি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটার আজীবনের জন্য নিষিদ্ধ করেছিল যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। ২০২১ সালের ক্যাপিটল হিলে দাঙ্গায় উসকানি দেয়ার অভিযোগে সে সময় এমন সিদ্ধান্ত নেয় টুইটার কর্তৃপক্ষ।
মালিকানা পরিবর্তন হয়ে মাস্কের হাতে চলে আসায় টুইটারে ট্রাম্পের ফেরার সুযোগ তৈরি হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
টুইটারে নিষিদ্ধ হওয়ার পর ট্রুথ সোশ্যাল নামে নতুন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম চালু করেন ট্রাম্প। এর আগে টুইটারের বিরুদ্ধে মামলাও করেন তিনি। তার অভিযোগ, টুইটার তার ওপর সেন্সর করছে।
ট্রাম্প টুইটারে ফিরবেন কি-না, তা নিয়ে কিছুদিন আগে মুখ খোলেন ইলন মাস্ক। এ বিষয়ে এক টুইটে তিনি বলেন, ‘ট্রাম্পকে ফেরত আনা হবে কি-না, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে তিনি কাউন্সিল চালু করবেন। তবে টুইটার আমন্ত্রণ জানালে ফিরে আসাটা ট্রাম্পের জন্য বুদ্ধিমানের কাজ না-ও হতে পারে।’
জবাবে ট্রাম্প জানান, নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকে জনপ্রিয় করতে টুইটারে ফিরবেন না তিনি।
নিষিদ্ধ হওয়ার আগ পর্যন্ত মূলধারার গণমাধ্যমগুলোকে পাশ কাটিয়ে ভোটারদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের জন্য টুইটারই ব্যবহার করতেন ট্রাম্প।
সেখান থেকেই মনে করা হচ্ছে, টুইটারে ফিরে আসার কথা এখন না ভাবলেও সুযোগ পেলে ভবিষ্যতে বিষয়টি নিয়ে ফের ভাববেন ট্রাম্প। কারণ, আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে আগ্রহী এই রিপাবলিকান।
এদিকে গত বুধবার মাস্ক জানিয়েছিলেন, নিষিদ্ধ ব্যক্তিরা টুইটারে ফিরে আসার সুযোগ পাবেন। তবে সেটা আরও কয়েক সপ্তাহ পর।