ইউক্রেন যুদ্ধে বড় ধরনের সংঘাতের শঙ্কা কমাতে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান ঊর্ধ্বতন রুশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন।
রোববার মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়ালস্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র ও এর সহযোগী দেশগুলোর কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, সুলিভান রুশ প্রেসিডেন্টের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা ইউরি উশাকভ ও রুশ সিকিউরিটি কাউন্সিলের প্রধান নিকোলায় পাত্রুশেভের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন।
এ বিষয়ে অবগত কর্মকর্তারা ওয়ালস্ট্রিট জার্নালকে জানান, আলোচনায় যুদ্ধ থামানোর চেয়ে ইউক্রেনে বড় সংঘাতের ঝুঁকি কমানো এবং যোগাযোগের জন্য সুযোগ খোলা রাখার ওপর বেশি জোর দেয়া হয়েছে।
তবে কখন এই আলোচনা হয়েছে এবং এটি ফলপ্রসূ হয়েছে কি না, তা নিয়ে বিস্তারিত কিছু জানাতে রাজি হয়নি সূত্রটি।
যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সুলিভান রাশিয়ার সঙ্গে যোগাযোগের উপায় খোলা রাখার ওপর জোর দিয়েছেন। যদিও হোয়াইট হাউসের অন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের এ নিয়ে মত ভিন্ন। তারা মনে করেন যে, এই পর্যায়ে মস্কোর সঙ্গে আলোচনা ফলপ্রসূ হবে না।
ওয়ালস্ট্রিট জার্নালের সূত্র আরও জানায়, সুলিভান শুধু ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে ওয়াশিংটনের নীতির সমন্বয়ে নেতৃত্ব দিচ্ছেন না। তিনি কূটনৈতিক প্রচেষ্টাও চালাচ্ছেন। গত সপ্তাহেই তিনি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য কিয়েভ সফরে যান।
আমেরিকার একজন কর্মকর্তা জানান, যুদ্ধ বন্ধে প্রস্তুত কিয়েভ; এ কথা জনগণকে ইঙ্গিত দেয়ার জন্য ইউক্রেনের নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান সুলিভান।
ওয়ালস্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, কিয়েভকে আলোচনার টেবিলে ফিরে আসার জন্য জোর দিচ্ছে না ওয়াশিংটন। তবে যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বকে দেখাতে চায় যে তারা লড়াই শেষ করার চেষ্টা করছে।
গত সেপ্টেম্বরে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জানান, যে কোনো উপায়ে রুশ অঞ্চলগুলো রক্ষা করা হবে। এরপর যুক্তরাষ্ট্র হুঁশিয়ারি দিয়ে জানায়, ইউক্রেন যুদ্ধে পরমাণু অস্ত্রের ব্যবহার হলে রাশিয়ার বিপর্যয়কর পরিণতি হবে।
উত্তর আটলান্টিক নিরাপত্তা জোটের (ন্যাটো) দাবি, ইউক্রেন যুদ্ধে পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহার করতে পারেন পুতিন। তবে রাশিয়ার জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দেশটি কাউকে পরমাণু অস্ত্রের হুমকি দিচ্ছে না।