বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ধারদেনায় ইউরোপের ৪২% মানুষ

  •    
  • ৭ নভেম্বর, ২০২২ ১৪:৩৪

জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ৮০ ভাগ মানুষ জানিয়েছেন, তারা সংসারের খরচে কাটছাঁট করেছেন। আগে ভ্রমণে তারা যে ব্যয় করতেন তা ৬২ ভাগ পর্যন্ত কমিয়ে এনেছেন। বন্ধু-বান্ধুব ও পরিবারের অন্যদের কাছে ধারদেনা করছেন ৪২ ভাগ মানুষ, ৪০ ভাগ মানুষ খুঁজছেন দুটি করে চাকরি। আর ২৯ ভাগ জানিয়েছে, তারা একবেলা খাবার খাচ্ছেন না।

টাকা-পয়সা নেই পকেটে অনেকেরই, কারো কারো সংসার চলছে কার্যত খুঁড়িয়ে। বিশ্বজুড়ে যে আর্থিক সংকট তৈরি হয়েছে, তার প্রভাব পড়ছে এসব মানুষের ওপর। একসময় অর্থনীতির জন্য আদর্শ জায়গা বলে বিবেচিত ইউরোপের বিভিন্ন দেশের চিত্র এখন এমন।

৫০ দেশের মহাদেশ ইউরোপের ছয়টি দেশের ওপর এক জরিপ চালিয়ে ফ্রান্সের দারিদ্র্যবিরোধী বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা সিকিউরস পপুলাইরি এমন বিস্ময়কর তথ্য দিয়েছে বলে জানিয়েছে দ্য গার্ডিয়ান

জরিপে উঠে এসেছে ফ্রান্স, জার্মানি, গ্রিস, ইতালি, পোল্যান্ড ও যুক্তরাজ্যের মানুষ কীভাবে তাদের নিত্যদিনের খরচ কমিয়েছেন। এতে অংশ নেয়া ৬ হাজার জনের অর্ধেকের বেশিই বলেছেন, তারা ব্যয় নিয়ে সংকটে পড়েছেন।

অর্থনীতি নিয়ে খুব বিপজ্জনক অবস্থায় থাকার কথা জানিয়েছেন প্রতি চারজনে একজন। সামনের দিনগুলো নিয়ে বেশ শঙ্কায় আছেন তারা।

জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ৮০ ভাগ মানুষ জানিয়েছেন, তারা সংসারের খরচে কাটছাঁট করেছেন। আগে ভ্রমণে তারা যে ব্যয় করতেন তা ৬২ ভাগ পর্যন্ত কমিয়ে এনেছেন। বন্ধুবান্ধুব ও পরিবারের অন্যদের কাছে ধারদেনা করছেন ৪২ ভাগ মানুষ, ৪০ ভাগ মানুষ খুঁজছেন দুটি করে চাকরি। আর ২৯ ভাগ জানিয়েছেন, তারা একবেলার খাবার খাচ্ছেন না।

বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতি ও ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে দাম বেড়েছে নিত্যপণ্যের। দাম বেড়েছে জ্বালানিরও, সঙ্গে মুদ্রাস্ফীতি। বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে একটির পর একটি দেশ। ইউরোপের বাইরে এশিয়ার দেশ শ্রীলঙ্কা-পাকিস্তানের অবস্থাও ভয়াবহ।

করোনা ছড়ানো শুরু হয় ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে। ইউক্রেনে রাশিয়া হামলা করে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে। এক সংকট কাটিয়ে ওঠার পথে থাকা বিশ্বকে দমিয়ে দিয়েছে আরেক সংকট।

অর্থনীতি নিয়ে সবচেয়ে বেশি সংকটে পড়েছে গ্রিস। দেশটির ৬৮ ভাগ মানুষ বলেছেন, ২০১৯ সাল থেকে তাদের ব্যয়ক্ষমতা কমে গেছে অনেক। ফ্রান্সের ৬৩, ইতালির ৫৭, জার্মাানির ৫৪, যুক্তরাজ্যের ৪৮ ও পোল্যান্ডের ৩৮ ভাগ মানুষ জানিয়েছেন একই কথা।

জরিপে অংশ নেয়া ছয়টি দেশের ৬৪ ভাগ মানুষ বলেছেন, তারা এরই মধ্যে খরচ কমিয়েছেন, এখন আর কোথায় খরচ কমাবেন তা তারা বুঝতে পারছেন না। ২৮ ভাগ বলেছেন, মাসের মাঝখানে এসে তাদের হাতে আর টাকা থাকে না। ভাড়া বাসা ছেড়ে দিতে হয় কি না চিন্তায় পড়েছেন ২৭ ভাগ মানুষ।

ছয়টি দেশের বেশির ভাগ পরিবারের অভিভাবকরা আর্থিক অবস্থা নিয়ে চাপ অনুভব করছেন বলে জরিপে উঠে এসেছে। অংশগ্রহণকারীদের ৭২ ভাগ জানিয়েছে, সন্তানের জীবনযাত্রার মান রক্ষার জন্য তারা তাদের অবসর কার্যক্রম, সৌন্দর্য চর্চা, চিকিৎসা ও পোশাক কেনা কমিয়েছেন।

ওই দেশগুলোর প্রায় ৪৮ ভাগ অভিভাবক বলেছেন, বাচ্চাদের খাওয়ানোর জন্য তারা নিজেদের খাওয়ার খরচ কমিয়েছেন। আর ৬৬ ভাগ অভিভাবক জানিয়েছেন, বাচ্চাদের জন্য আগে যে খরচ করতেন সে জায়গায় তারা লাগাম টানতে বাধ্য হয়েছেন।

ইউরোপের এই দেশগুলো বর্তমান অবস্থার প্রেক্ষাপটে আর্থিক দিক দিয়ে সামনের দিনগুলোতে আরও ঝুঁকির মুখে পড়তে যাচ্ছে বলে আভাস দিয়েছে সিকিউরস পপুলাইরির জরিপ।

এ বিভাগের আরো খবর