বন্দুকধারীর হামলায় আহত পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান হাসপাতাল ছেড়েছেন। তার একজন জ্যেষ্ঠ সহযোগীর বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এদিকে লংমার্চে বন্দুকধারীর হামলায় ইমরান খান আহত হওয়ার ঘটনাকে ‘অভিনয়’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন পাকিস্তান ডেমোক্রেটিক মুভমেন্টের (পিডিএম) প্রধান মওলানা ফজলুর রহমান।
আগাম নির্বাচনের দাবিতে পাঞ্জাব প্রদেশের ওয়াজিরাবাদে আয়োজিত ইসলামাবাদ অভিমুখী লংমার্চে বৃহস্পতিবার ইমরান খানের ওপর বন্দুক হামলা হয়। তার পায়ে গুলি লাগে। তিনদিন লাহোরের শওকত খানুম হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী।
তার হাসপাতাল ছাড়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাকিস্তানের সাবেক তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী। এছাড়া একটি স্থানীয় টেলিভিশন চ্যানেলের ফুটেজে দেখা গেছে, হাসপাতালের নীল গাউন পরে হুইলচেয়ারে করে বের হচ্ছেন ইমরান খান।
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ওপর হামলার ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি জানিয়েছেন, ইমরানের লংমার্চের কারণে আজান বাধাগ্রস্ত হয়। এ জন্য তিনি এই হামলা চালিয়েছেন।
ইসলামাবাদ অভিমুখী লংমার্চে হামলার জন্য ইমরান খান পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ ও জ্যেষ্ঠ গোয়েন্দা কর্মকর্তাকে দায়ী করেছেন।
২০১৮ সালে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন ইমরান খান। চলতি বছরের এপ্রিলে সংসদে অনাস্থা ভোটে হেরে ক্ষমতা হারান তিনি। ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকেই আগাম নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছেন ইমরান।
এদিকে ইমরান খান আহত হওয়াকে অভিনয় হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন পাকিস্তানের রাজনীতিবীদ মওলানা ফজলুর রহমান।
রোববার সংবাদ সম্মেলনে ইমরানবিরোধী এই রাজনীতিবিদ প্রশ্ন করেন, সে (ইমরান খান) কি এক পায়ে গুলি লেগেছে না দুই পায়ে? হামলার পর স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি না হয়ে তিনি কেন লাহোরের হাসপাতালে গেলেন?
বিশ্লেষকরা বলছেন, ইমরান খানের ওপর হামলার এই ঘটনা পাকিস্তানকে বিপজ্জনক একটি পরিস্থিতির মধ্যে ফেলে দিয়েছে।
মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস কমিশন অফ পাকিস্তানের প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘এটি একটি বিপজ্জনক পরিস্থিতি; শুধু গণতন্ত্রের জন্যই নয়, পুরো দেশের জন্য।’