গণছাঁটাই শুরু করেছে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটার। এরইমধ্যে টুইটারে কর্মরত ভারতীয়দের ব্যাপকহারে ছাঁটাই করা হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্রের বরাতে শুক্রবার এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতে টুইটার অফিসের মার্কেটিং ও কমিউনিকেশন্স বিভাগের গোটা দলকেই ছাঁটাই করা হয়েছে। দেশটিতে টুইটারে কাজ করা ৫০ শতাংশের বেশি কর্মী ইতোমধ্যে চাকরি হারিয়েছেন।
কদিন আগে ৪৪ বিলিয়ন ডলারে টুইটার কেনেন বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক। এর কিছুদিন পর আমেরিকান সংবাদমাধ্যম নিউ ইয়র্ক টাইমস ও ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, সাড়ে ৭ হাজার কর্মীর মধ্যে অর্ধেকই ছাঁটাই করবেন নতুন টুইটার প্রধান।
ছাঁটাই হওয়া কর্মীদের কাছে পাঠানো একটি মেমো তাদের ইমেইলে পাঠায় টুইটার। সেখানে বলা হয়, প্রতিষ্ঠানকে সঠিক পথে রাখার জন্য শুক্রবার থেকে আমরা বিশ্বব্যাপী কর্মশক্তি কমানোর প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাবে টুইটার। আপনি যদি অফিসে থাকেন বা অফিসের পথে থাকেন, তাহলে দয়া করে বাড়িতে ফিরে যান।
ইতোমধ্যে টুইটারের অফিসগুলো সাময়িকভাবে বন্ধ করা হয়েছে। গ্রাহকদের তথ্যের নিরাপত্তার খাতিরে কর্মীদের প্রবেশাধিকার স্থগিত করা হয়েছে।
মাস্কের দাবি, টুইটার কিনতে তাকে বেশি টাকা খরচ করতে হয়েছে। সেই খরচ তোলার জন্যই এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
কেবল কর্মী ছাঁটাই নয়, টুইটারের ‘ব্ল-টিক’ বা ভেরিফিকেশনের জন্য মাসিক ফি নেয়ার ঘোষণাও দিয়েছেন ইলন মাস্ক। তিনি জানান, এখন থেকে ব্লু-টিকের জন্য মাসে ৮ ডলার করে দিতে হবে টুইটার ব্যবহারকারীদের।
টুইটারের খরচ কমানোর বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দুটি সূত্র জানায়, প্রতি বছর ১ বিলিয়ন ডলারের বেশি অবকাঠামোগত খরচ সাশ্রয়ের উপায় খুঁজতে ইতোমধ্যে কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন মাস্ক।
মাস্ক টুইটার কেনার পরই প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) পরাগ আগারওয়াল, প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা নেড সিগাল, আইন ও নীতিমালাবিষয়কপ্রধান বিজয়া গাড্ডেকে বরখাস্ত করেন।
এদিকে পর্যাপ্ত নোটিশ না দিয়ে কর্মী ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনার অভিযোগে টুইটারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে টুইটারের কিছু কর্মী। তারা বলছেন, ক্যালিফোর্নিয়ার আইন না মেনে টুইটার গণছাঁটাই করতে যাচ্ছে কোম্পানিটি। সান ফ্রান্সিস্কোর ফেডারেল আদালতে বৃহস্পতিবার মামলা হয়। ক্যালিফোর্নিয়ার শ্রম আইন অনুযায়ী, গণছাঁটাইয়ের ৬০ দিন আগে কর্মীদের নোটিশ দিতে হয়।
এ নিয়ে টুইটারের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।