ইউক্রেনের খেরসন অঞ্চলে রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে ইউক্রেন। এই অবস্থায় অঞ্চলটিতে ব্যাপক হতাহতের আশঙ্কা করছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এ কারণেই হয়ত খেরসনের বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপদে সরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন পুতিন।
রুশ বার্তা সংস্থা আরআইএ নোভোস্তির প্রতিবেদনে বলা হয়, ক্রেমলিনপন্থী নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে শুক্রবার এ আহ্বান জানান পুতিন।
তিনি বলেন, ‘যারা খেরসনে বাস করছেন, তাদের সরিয়ে দেয়া উচিত। তাদের ভোগান্তিতে ফেলা উচিত হবে না।’
‘গণভোটের’ মাধ্যমে সেপ্টেম্বরে পূর্ব ইউক্রেনের খেরসন, দোনেস্ক, লুহানস্ক, জাপোরিঝিয়া রাশিয়ান ফেডারেশনে যুক্ত করেন পুতিন।
খেরসন অঞ্চলটি ইউক্রেনের নিপার নদীর তীরে অবস্থিত। ২০১৪ সালে রাশিয়ার দখল করা ক্রিমিয়া উপদ্বীপ থেকে ইউক্রেনের বিভিন্ন অঞ্চলে যোগাযোগের গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার হয় খেরসন।
এই নিপার নদীর পশ্চিম তীরের বড় একটি অংশ রুশ বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে। এটি ব্যবহার করে ইউক্রেনের উত্তর ও পশ্চিমের আরও বিস্তীর্ণ অঞ্চল দখলের সুযোগ রয়েছে পুতিন বাহিনীর।
গত কয়েক সপ্তাহে খেরসনে হোঁচট খেতে দেখা গেছে রুশ সেনাদের। বেশ কয়েকটি শহর ও গ্রাম মুক্ত করেছে কিয়েভ বাহিনী।
রাশিয়ার খেরসন শহর ছাড়ার খবরটিকে বেশ সতর্কতার সঙ্গে নিচ্ছে ইউক্রেন ও পশ্চিমা দেশগুলো। ইউক্রেনের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, রাশিয়া হয়ত ইউক্রেনের সেনাদের ফাঁদে ফেলতে পিছু হটার ভান করছে। রুশ সেনাদের খেরসন শহর ছেড়ে চলে যাওয়ার ঘোষণা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন তারা।
খেরসনে প্রশাসনিক ভবনে রাশিয়ার পতাকা না উড়ানোয় সন্দেহ আরও তীক্ষ্ণ হয়েছে। অনেকেই ধারণা করছে, রুশ সেনারা বড় যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
ইউক্রেনের সাউদার্ন মিলিটারি কমান্ডের মুখপাত্র নাতালিয়া হিউমেনিউক বলেন, ‘এটি একটি ফাঁদ হতে পারে। নতুন উসকানি কৌশলও হতে পারে।’