সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ওপর প্রাণঘাতী হামলার পর পাকিস্তানজুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। ইমরানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) হাজার হাজার নেতাকর্মী দেশের বিভিন্ন প্রান্তে রাস্তা অবরোধ করে সরকারের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ করছেন।
পাকিস্তানের প্রভাবশালী দৈনিক দ্য ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়, কোয়েটায় বিমানবন্দরগামী সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন পিটিআই নেতাকর্মীরা। এতে শহরে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
করাচির শারে ফয়সাল, উত্তর নাজিমাবাদ, লাঁধি, কায়েদাবাদ, উত্তর করাচি, হাব রিভার মহাসড়ক ও মৌরিপুরেও বিক্ষোভের খবর পাওয়া গেছে। রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ শুরু করায় শহরটি এক প্রকার অচল হয়ে পড়েছে।
ইমরান খানের ওপর ‘হত্যাচেষ্টার’ প্রতিবাদে রাওয়ালপিন্ডিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহর বাসভবনের বাইরে বিক্ষোভ করছেন পিটিআই কর্মীরা।ফয়সালাবাদেও রাস্তায় নেমেছেন ইমরান সমর্থকরা। সেখানে আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন পিটিআইর জ্যেষ্ঠ নেতা ও পাকিস্তানের সাবেক মন্ত্রী ফররুখ হাবিব। আগাম নির্বাচনের দাবিতে গত ২৮ অক্টোবর লাহোরের লিবার্টি চক এলাকা থেকে ইসলামাবাদ অভিমুখী লং মার্চ শুরু করেন ইমরান খান। ডনের খবরে বলা হয়েছে, লিবার্টি চকে জমায়েত হতে শুরু করেছে পিটিআই সমর্থকরা।
পাঞ্জাবের ওয়াজিরাবাদের আল্লাহু চক এলাকায় বৃহস্পতিবার বিকেলে লং মার্চে ইমরান খানকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। এতে তিনিসহ আহত হয়েছেন ৭ জন। মৃত্যু হয়েছে মুয়াজ্জিম নেওয়াজ নামে একজনের।
হামলার পর দ্রুত ইমরানকে লাহোরের একটি হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে একই শহরের শওকত খানুম হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয় তাকে। পায়ে গুলি লাগলেও ইমরান শঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছেন দলের নেতারা।
লং মার্চ অব্যাহত থাকার ঘোষণাও দিয়েছে ইমরানের দল পিটিআই।