আসন্ন গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনের আগে সেখানকার দুটি জেলায় বাংলাদেশ, আফগানিস্তান, পাকিস্তান থেকে আগত অমুসলিম শরণার্থীদের ভারতের নাগরিকত্ব দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার।
মোদি সরকারের নির্বাচনকেন্দ্রিক এই সিদ্ধান্ত মানতে পারছে না বিরোধীরা। চলতি ডিসেম্বরে গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই ঘোষণাকে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের ভোটে জেতার কৌশল বলছেন তারা।
তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সম্পাদক কুনাল ঘোষ বলেন, ‘গুজরাটে সেতু ভেঙে পড়েছে। বিজেপির চূড়ান্ত ব্যর্থতা সামনে চলে এসেছে। সেগুলো থেকে নজর ঘোরাতে এ ধরনের পদক্ষেপের কথা হাওয়ায় ভাসানো হচ্ছে।’
তৃণমূলের রাজ্যসভার সংসদ শান্তনু সেন বলেন, ‘সিএএ, এনআরসি নিয়ে বিজেপির দ্বৈরথ এবং তাদের নিজেদের মধ্যে অস্থিরতা আগেও দেখেছি। বিলটি আড়াই বছর আগে গায়ের জোরে পাস করানো হয়েছিল। সেটা আজ অবধি কার্যকর করতে পারল না। তারা ধর্মের নামে মানুষের মধ্যে বিভাজন তৈরির জন্য এই সংকীর্ণ পথে হাঁটছে।
‘তৃণমূল কংগ্রেসের স্ট্যান্ড অত্যন্ত পরিষ্কার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার বলেছেন, যারা ভারতে দীর্ঘদিন আছেন, যারা ভোটার কার্ড দিয়ে রাজ্য বা কেন্দ্রীয় সরকারকে নির্বাচন করেন, তারা প্রত্যেকেই ভারতের নাগরিক। নতুন করে তাদের নাগরিকত্ব নিয়ে প্রমাণ দেয়ার প্রশ্ন ওঠে না।’
সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী কেন্দ্রে বলেন, ‘পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে গুজরাটের ভোট নিয়ে মোদিজি দুশ্চিন্তায় আছেন।’
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বাংলাদেশে পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান থেকে আগত অমুসলিম (হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান, শিখ, জৈন ইত্যাদি) সম্প্রদায়ের মানুষকে ভারতের নাগরিকত্ব দেয়া হবে। গুজরাটের মেহসানা ও আনন্দ জেলার জেলা শাসকদের নাগরিকত্ব দেয়ার কাজ শুরু করার নির্দেশ দেয়া হয় এতে।
ভারতের নাগরিকত্ব পেতে শরণার্থীদের অনলাইনে আবেদন করতে বলা হয়েছে। আবেদন ও জেলা শাসকদের প্রতিবেদন খতিয়ে দেখে নাগরিকত্ব দেয়ার বিষয়টি বিবেচনা করবে কেন্দ্র সরকার।