সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটার আজীবনের জন্য নিষিদ্ধ করেছিল যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। ২০২১ সালের ক্যাপিটল হিলে দাঙ্গায় উসকানি দেয়ার অভিযোগে তৎকালীন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টকে এই শাস্তি দেয়া হয়। তবে এর মধ্যে টুইটারের মালিকানা পরিবর্তন হয়েছে। ৪৪ বিলিয়ন ডলারে এটিকে কিনে নিয়েছেন বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক। এ ঘটনাকে ট্রাম্পের টুইটারে ফেরার সুযোগ হিসেবে দেখা যাচ্ছে।
টুইটারে নিষিদ্ধ হওয়ার পর সোশ্যাল ট্রুথ নামের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম চালু করেছেন ট্রাম্প। এর আগে টুইটারের বিরুদ্ধে মামলাও ঠোকেন ট্রাম্প। তার অভিযোগ, টুইটার তার ওপর সেন্সর করছে।
ট্রাম্প টুইটারে ফিরবেন কি না, তা নিয়ে কিছুদিন আগে মুখ খোলেন ইলন মাস্ক। মাস্ক টুইটে বলেন, ‘ট্রাম্পকে ফেরত আনা হবে কি না, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে তিনি কাউন্সিল চালু করবেন। তবে টুইটার আমন্ত্রণ জানালে ফিরে আসাটা ট্রাম্পের জন্য বুদ্ধিমানের কাজ না-ও হতে পারে।’
জবাবে ট্রাম্প জানান, নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকে জনপ্রিয় করতে টুইটারে ফিরবেন না তিনি।
নিষিদ্ধ হওয়ার আগপর্যন্ত মূলধারার গণমাধ্যমগুলোকে পাশ কাটিয়ে ভোটারদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের জন্য টুইটারই ব্যবহার করতেন ট্রাম্প।
সেখান থেকে মনে করা হচ্ছে, সুযোগ পেলে টুইটারে ফিরে আসার কথা এখন না ভাবলেও, ভবিষ্যতে বিষয়টি নিয়ে ফের ভাববেন এই রিপাবলিকান। কারণ, আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে আগ্রহী ট্রাম্প।
এমন প্রেক্ষাপটে বুধবার মাস্ক জানান, নিষিদ্ধ ব্যক্তিদের টুইটারে ফিরে আসার সুযোগ পাবেন। তবে সেটা আরও কয়েক সপ্তাহ পর।
টুইটে মাস্ক বলেন, ‘যারা নিয়ম ভঙ্গের জন্য টুইটার থেকে নিষিদ্ধ হয়েছেন, তাদের ফিরিয়ে আনতে একটি স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে। এ জন্য আরও কয়েক সপ্তাহ প্রয়োজন হতে পারে।’
এটি মাস্ক টুইটারের নিরাপত্তাবিষয়ক প্রধান ইয়োয়েল রথের একটি টুইটের জবাবে করেছেন। মাস্ক জানান, টুইটারে কীভাবে ঘৃণা, হয়রানি ও নির্বাচনের সময় মিথ্যা তথ্য ছড়ানো বন্ধ করা যায় তা নিয়ে নীতি ঠিক করতে সিভিল সোসাইটির নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করবেন তিনি।
এতে এটাই স্পষ্ট যে ৮ নভেম্বর মধ্যবর্তী নির্বাচনের আগে আর টুইটারে ফিরছেন না ট্রাম্প।