বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শেখ মুজিবের মতো লড়ছি: ইমরান খান

  • ইয়াসিন আরাফাত    
  • ২ নভেম্বর, ২০২২ ১৯:২৮

'৭১ সালে পাকিস্তানের ভাগের প্রসঙ্গ তুলে ইমরান বলেন, ‘ভোটে জিতলেও আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আসতে দেয়া হয়নি সেবার। আর এর জেরেই পূর্ব পাকিস্তান বিভক্ত হয়ে বাংলাদেশ নামে রাষ্ট্রের জন্ম হয়েছে।’

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মতোই স্বাধীনতার জন্য লড়াই করছেন বলে জানিয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তিনি বলেছেন, তার লড়াই ‘প্রকৃত’ স্বাধীনতার জন্য।

আগাম নির্বাচনের দাবিতে রাজধানী ইসলামাবাদমুখী লংমার্চ করছেন পিটিআইপ্রধান ইমরান। লাহোর থেকে গত ২৮ অক্টোবর সমর্থকদের নিয়ে যাত্রা শুরু করেন তিনি। পথে বিভিন্ন জায়গায় সমাবেশ করে সমর্থন জোরদার করছেন সাবেক তারকা ক্রিকেটার ইমরান। গুজরানওয়ালা শহরে মঙ্গলবার বিশাল সমাবেশে ফের জ্বালাময়ী ভাষণ দেন তিনি।

এ সময় ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের ভাগের প্রসঙ্গ তুলে ইমরান বলেন, 'ভোটে জিতলেও আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আসতে দেয়া হয়নি সেবার। আর এর জেরেই পূর্ব পাকিস্তান বিভক্ত হয়ে বাংলাদেশ নামে রাষ্ট্রের জন্ম হয়েছে।

'ধূর্ত রাজনীতিবিদ (জুলফিকার আলী ভুট্টো) ক্ষমতার লোভে নির্বাচনে জয়ী তৎকালীন বৃহত্তম দল আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে সশস্ত্র বাহিনীকে দাঁড় করিয়েছিলেন। এতে দেশটি ভেঙে যায়।’

নিজের দল পিটিআইকে আওয়ামী লীগের সঙ্গে তুলনা করে ইমরান বলেন, 'বৃহত্তর দল হওয়ার পরও আমাদের নির্বাচনের দাবিকে উপেক্ষা করছে সরকার।

তৎকালীন পাকিস্তানে ১৯৭০ সালে হওয়া সাধারণ নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দল আওয়ামী লীগ বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়। তারপরও শেখ মুজিবকে ক্ষমতায় আসতে দেয়নি তৎকালীন পাকিস্তানের সেনাশাসিত সরকার।

ইমরান খান দাবি করেন, যেভাবে শেখ মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে সেনাদের লেলিয়ে দিয়েছিলেন জুলফিকার আলী ভুট্টো, ঠিক সেই ভূমিকায় এখন নওয়াজ শরিফ ও আসিফ আলি জারদারি।

৭০ বছর বয়সী সাবেক তারকা ক্রিকেটার ২০১৮ থেকে ২০২২ সালের এপ্রিল পর্যন্ত পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন। অভিযোগ ওঠে, এ সময়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করে রাষ্ট্রীয় দখলে থাকা উপহার কেনাবেচা করেছেন ইমরান। বলা হচ্ছে, লেনদেন করা এসব উপহারের মূল্য ৬ লাখ ৩৫ হাজার ডলারের বেশি।

এই অভিযোগের ভিত্তিতে ২১ অক্টোবর পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন ইমরান খানকে ভোটে অযোগ্য ঘোষণা করে। তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা হবে বলেও জানায় কমিশন।

ওই রায়ের প্রতিবাদে ইমরানের সমর্থকেরা বিক্ষোভ শুরু করেন; যা রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তায় জর্জরিত পাকিস্তানকে আরও অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছে।

আগাম জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে ২৫ অক্টোবর রাজধানীমুখী লংমার্চের ঘোষণা দেন ইমরান।

আইনসভায় অনাস্থা ভোটে এপ্রিলে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়তে হয় ইমরান খানকে। সেই থেকে আগাম নির্বাচনের আহ্বান জানিয়ে পাকিস্তানজুড়ে বিক্ষোভ করছেন ইমরান। তবে সরকার সাফ জানিয়ে দিয়েছে, আগামী বছরের অক্টোবর বা নভেম্বরের আগে নির্বাচন হবে না।

এ বিভাগের আরো খবর