অধিকৃত ক্রিমিয়ায় ড্রোন হামলার পর কৃষ্ণ সাগরের বন্দরগুলো থেকে শস্য রপ্তানি নিয়ে ইউক্রেনের সঙ্গে হওয়া চুক্তি স্থগিত করেছিল রাশিয়া। এর ফলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ খাদ্য সংকটের শঙ্কায় পড়ে।
এমন পরিস্থিতিতে জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় হওয়া ওই চুক্তিতে ফিরতে রাশিয়াকে আহ্বান জানিয়ে আসছিল পশ্চিমা দেশগুলো। ইউক্রেনের কাছ থেকে সমুদ্রে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার নিশ্চয়তা পাওয়ার পর অবশেষে সেই চুক্তিতে ফিরেছে রাশিয়া। এর ফলে বুধবার থেকে কৃষ্ণ সাগর দিয়ে ইউক্রেনের শস্যবাহী জাহাজ চলাচল শুরু হয়।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান জানান, রাশিয়া ও তুরস্কের প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের ফোনালাপের পর চুক্তিতে ফিরতে রাজি হয় মস্কো। স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা থেকে শস্যবাহী জাহাজগুলোর চলাচল শুরু হয়।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ও ইউক্রেনের সঙ্গে শস্য রপ্তানি চুক্তিতে ফেরার খবর নিশ্চিত করেছে। তারা জানিয়েছে, সমুদ্র করিডোর নিরস্ত্রীকরণের বিষয়ে কিয়েভের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত নিশ্চয়তা পাওয়া গেছে।
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, সমুদ্র করিডোরে নিরাপত্তা নিশ্চিত না হলে রাশিয়ার চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার অধিকার আছে। পরবর্তীতে চুক্তি থেকে বেরিয়ে গেলেও, ইউক্রেন থেকে তুরস্কে শস্য সরবরাহ করতে দেবে রাশিয়া। ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার শস্য চুক্তি হওয়ার পর ৯৭ লাখ মেট্রিক টন শস্য ইউক্রেন বন্দর ছেড়েছে বলে জানায় ইস্তানবুলের জয়েন্ট কোঅর্ডিনেশন সেন্টার।
গত জুলাইয়ে ইউক্রনের সঙ্গে শস্য রপ্তানি নিয়ে চুক্তি করে রাশিয়া। আর এটি পর্যবেক্ষণ করে রাশিয়া, তুরস্ক, ইউক্রেন ও জাতিসংঘের কর্মকর্তাদের তত্ত্বাবধানে গঠিত একটি দল। পশ্চিমারা রাশিয়াকে এই চুক্তিতে আসার আহ্বান জানালেও, সমুদ্রে নিরাপত্তার জন্য বাস্তবিক নিশ্চয়তা চাচ্ছিল মস্কো।