যার নাম রোদচশমা, রোদ ঠেকাতেই তো তা চোখে পরে থাকার কথা। কিন্তু অনেককেই দিনের পাশাপাশি রাতেও এই রোদচশমা পরে থাকতে দেখা যায়। এ এক রহস্যই বটে! পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানও তৈরি করেছেন এমন ‘রোদচশমা রহস্য’।
রাতে রোদচশমা বা সানগ্লাস পরা নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েছেন তেহরিক-ই-ইনসাফ পাকিস্তান (পিটিআই) নেতা ইমরান। এক সাংবাদিকের করা ওই প্রশ্নের অবশ্য জবাবও তার হয়ে দিয়েছেন দলের আরেক সাবেক মন্ত্রী।
সম্প্রতি একটি ভিডিও সাক্ষাৎকার ভাইরাল হয় ইমরানের। এতে রাতের বেলায় সানগ্লাস পরে কথা বলতে দেখা যায় তাকে। এরপরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে থাকেন কেউ কেউ।
জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক হামিদ মীরও তোলেন একই প্রশ্ন। টুইটারে পোস্ট করেন তিনি। তার এই পোস্টের নিচে এসে জবাব দেন ইমরানের দলের সাবেক তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী।
ফাওয়াদ লিখেছেন, ‘আলোর সংবেদনশীলতার কারণে রাতেও সানগ্লাস পরে থাকেন ইমরান খান। বিশেষ করে লং মার্চের সময় গাড়ির আলো এসে পড়ে তার চোখে।’
কর্মসূচির সময় ঘণ্টার পর ঘণ্টা গাড়িতে দাঁড়িয়ে থাকা মোটেও সহজ না বলেও মন্তব্য করেন এই সাবেক মন্ত্রী।
আগাম জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে পিটিআই প্রধান ইমরান লং মার্চ নিয়ে গত শুক্রবার লাহোর থেকে ইসলামাবাদের উদ্দেশে যাত্রা করেন। এতে থেমে থেমে বিভিন্ন সভায় বক্তব্য দিচ্ছেন তিনি। এই লং মার্চ ৪ নভেম্বর রাজধানীতে পৌঁছানোর কথা।
৭০ বছর বয়সী সাবেক তারকা ক্রিকেটার ২০১৮ থেকে ২০২২ সালের এপ্রিল পর্যন্ত পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন। অভিযোগ ওঠে, এ সময়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করে রাষ্ট্রীয় দখলে থাকা উপহার কেনাবেচা করেছেন ইমরান। বলা হচ্ছে, লেনদেন করা এসব উপহারের মূল্য ৬ লাখ ৩৫ হাজার ডলারের বেশি।
এ অভিযোগের ভিত্তিতে ২১ অক্টোবর পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন ইমরান খানকে ভোটে অযোগ্য ঘোষণা করে। তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা হবে বলেও জানায় কমিশন।
ওই রায়ের প্রতিবাদে ইমরানের সমর্থকরা বিক্ষোভ শুরু করেন; যা রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তায় জর্জরিত পাকিস্তানকে আরও অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছে।
আগাম জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে ২৫ অক্টোবর রাজধানীমুখী লং মার্চের ঘোষণা দেন ইমরান।