সিউল ও ওয়াশিংটনের যৌথ সামরিক মহড়া ঘিরে ফের উত্তেজনা দেখা দিয়েছে কোরীয় উপদ্বীপে। মহড়া অবিলম্বে বন্ধ না করলে ‘উপযুক্ত’ ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে পিয়ংইয়ং।
যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়াটি চলবে ৫দিন, শেষ হবে শুক্রবার। এই দুই মিত্রের বিভিন্ন সামরিক মহড়ার প্রতিক্রিয়ায় এর আগে মিসাইল উৎক্ষেপণ করেছিল উত্তর কোরিয়া। ধারণা করা হচ্ছে, মহড়া না বন্ধ হলে এমন কিছুই করতে পারেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন।
সিউলের কয়েকটি গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৭ সালের পর ফের পারমাণু অস্ত্র পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছে পিয়ংইয়ং।
উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, যুক্তরাষ্ট্র সামরিক উসকানি অব্যাহত রাখলে তারা আরও শক্ত ব্যবস্থা নেবে। আর এর দায় নিতে হবে ওয়াশিংটনকেই।
‘ভিজিল্যান্ট স্টর্ম’ নামে যৌথ মহড়ায় দুই দেশের শত শত যুদ্ধবিমান অংশ নিয়েছে। সোমবার থেকে বিরামহীনভাবে এগুলো শক্তি প্রদর্শন করছে।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে গোটা বিশ্ব এক ধরনের হুমকিতে আছে। এই অবস্থায় গত মাসের শুরুতে কোরীয় উপদ্বীপের কাছে পরমাণু অস্ত্রসমৃদ্ধ রণতরী ইউএসএস রোনাল্ড রিগান মোতায়েন করে যুক্তরাষ্ট্র। এতে পরিস্থিতি আরও উত্যপ্ত হয়ে ওঠে।
ওয়াশিংটনের এ পদক্ষেপকে উত্তর কোরিয়ার জন্য সতর্কবার্তা হিসেবে দেখা হচ্ছে। কোরীয় উপদ্বীপের কাছে সিউল বাহিনীর এক মহড়ায় অংশও নেয় রণতরীটি। বর্তমানে এই রণতরী ফিলিপাইন সাগরে ফ্লাইট অপারেশন পরিচালনা করছে।
সেপ্টেম্বরে উত্তর কোরিয়াকে ‘পারমাণবিক অস্ত্রধারী’ দেশ হিসেবে ঘোষণা দেন কিম জং উন। আর এই তকমা ‘অপরিবর্তনীয়’ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
চলতি বছরে মিসাইল নিক্ষেপের তৎপরতা বাড়িয়েছে উত্তর কোরিয়া। এ পর্যন্ত দেশটি অন্তত ৪০টি মিসাইল উৎক্ষেপণ করেছে।