দক্ষিণ কোরিয়ায় হ্যালোইন উৎসব পালন করতে গিয়ে পদদলিত হয়ে কমপক্ষে ১৫১ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও ১০০ নারী-পুরুষ।
দেশটির রাজধানী সিউলের ইটাওয়ান এলাকায় শনিবার স্থানীয় সময় রাত ১০টার পর এই ঘটনা ঘটে।
আল জাজিরা জানায়, সিউলে হ্যালোইন উদযাপনের জন্য হাজার হাজার লোক একটি সরু রাস্তায় জড়ো হয়। একপর্যায়ে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে হুড়োহুড়িতে পদদলিত হয়ে কমপক্ষে ১৫১ জনের মৃত্যু হয়।
সিউলের ইয়ংসান ফায়ার ডিপার্টমেন্টের প্রধান চোই সিওং-বিওম জানান, টাওয়ানের বিনোদন জেলায় ভিড়ের চাপে পড়ে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে। জরুরি উদ্ধারকর্মীরা আহতদের সিউলজুড়ে বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
তিনি জানান, রাত ১০টা ২০ মিনিট পর্যন্ত ৭৪ জনের মরদেহ হাসপাতালে পাঠানো সম্ভব হয়েছে। বাকিদের মরদেহ সে সময় পর্যন্ত রাস্তায়ই পড়ে ছিল।
কর্মকর্তারা জানান, হ্যালোইন উৎসবে সিউলের একটি প্রধান পার্টি স্পটে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। হ্যামিল্টন হোটেলের কাছে একটি সরু গলিতে এই স্পটে বিপুলসংখ্যক মানুষ জড়ো হয়। একপর্যায়ে সেখানে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে হুড়োহুড়ি শুরু হয়। বিপুলসংখ্যক মানুষ তখন একযোগে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালালে অনেকে পদদলিত হয়ে মারা যান।
স্থানীয় বেশকিছু মিডিয়া জানিয়েছে, যে ঘটনাটি ঘটেছে যখন একটি অজ্ঞাত সেলিব্রিটি ওই পার্টি স্পটে আসার খবর পেয়ে লোকজন ইটওয়ান বার অভিমুখে ছুটে আসে। আর তা থেকেই বিশৃঙ্খলা ও পদদলিত হয়ে হতাহতের ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনার পর চার শতাধিক জরুরি উদ্ধারকর্মী ও ১৪০টি গাড়ি ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার তৎপরতা চালায়। তারা আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে স্থানান্তর করে। একই সঙ্গে মরদেহগুলো উদ্ধারে কাজ শুরু করে।
পুলিশ সূত্র নিশ্চিত জানিয়েছে, আহত কয়েক ডজন লোককে রাস্তায়ই জরুরি ভিত্তিতে কার্ডিওপালমোনারি রিসাসিটেশন (সিপিআর) দেয়া হয়েছে। আহত অন্যদের উদ্ধার করে কাছের হাসপাতালগুলোতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
সোশ্যাল মিডিয়ার ফুটেজে দেখা গেছে, উদ্ধারকারী কর্মকর্তা ও সাধারণ নাগরিকরা একযোগে রাস্তায় ছড়িয়েছিটিয়ে পড়ে থাকা আহতদের ওপর সিপিআর করছেন।
ন্যাশনাল ফায়ার এজেন্সির আরেক কর্মকর্তা মুন হিউন-জু বলেন, ‘এলাকাটি এখনও বিশৃঙ্খল অবস্থায় রয়েছে। এ জন্য হতাহতদের সঠিক পরিসংখ্যান বের করাটা কঠিন হয়ে পড়েছে।’