বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কলকাতায় শুরু চতুর্থ বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসব

  •    
  • ২৯ অক্টোবর, ২০২২ ২১:০৩

শিল্পী বাবুল সুপ্রিয় বলেন, ‘দুই দেশের সিনেমা শিল্পকে আরও সংগঠিত হতে হবে। দু’দেশের শিল্প-সংস্কৃতির বিনিময় আরও নিয়মিত করতে হবে। দুই বাংলার চলচ্চিত্র শিল্পকে হাতে হাত ধরে কাজ করতে হবে। তাহলে বাঙালি সংস্কৃতির আরও উন্নতি হবে।’

কলকাতার রবীন্দ্র সদনে বর্ণময় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় চতুর্থ বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসব। শনিবার সকাল থেকে নন্দন প্রেক্ষাগৃহে বাংলাদেশের সিনেমা দেখার জন্য চলচ্চিত্র প্রেমীদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।

রবীন্দ্র সদনে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক গৌতম ঘোষ।

তিনি বলেন, ‘বাইরে বাংলাদেশের সিনেমা দেখার জন্য দর্শকদের লাইন দেখে খুব ভালো লাগছে। সাম্প্রতিক সময়ে নন্দনে এত ভিড় চোখে পড়েনি। বড় আকারে চলচ্চিত্র উৎসব এই প্রথম হচ্ছে। আমরা দুই দেশের ছবি এখনো সেভাবে আদান-প্রদান করতে পারিনি। কলকাতা এবং ঢাকা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির মধ্যে সমন্বয় জরুরি।’

পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তথ্যপ্রযুক্তি ও পর্যটন মন্ত্রী, সঙ্গীত শিল্পী বাবুল সুপ্রিয় বলেন, ‘দুই দেশের সিনেমা শিল্পকে আরও সংগঠিত হতে হবে। দু’দেশের শিল্প-সংস্কৃতির বিনিময় আরও নিয়মিত করতে হবে। দুই বাংলার চলচ্চিত্র শিল্পকে হাতে হাত ধরে কাজ করতে হবে। তাহলে বাঙালি সংস্কৃতির আরও উন্নতি হবে।’

বক্তব্য রাখার পরে দর্শকদের অনুরোধে বাবুল সুপ্রিয় ‘আমি বাংলায় গান গাই’ গানটি গেয়ে শোনান।

বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘কাঁটাতারের বেড়া বা রাজনৈতিক সীমারেখা থাকলেও আমরা বাংলা ভাষায় কথা বলি, বাংলায় গান করি, আমরা সবাই বাঙালি। সংস্কৃতির দিক থেকে পৃথিবীতে বাঙালি একটি উন্নত জাতিগোষ্ঠী।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির উন্নতির যাত্রা শুরু হয় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাত ধরে। আমাদের দেশ গঠনে জাতি গঠনে, আমাদের সিনেমা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। সেই চলচ্চিত্র যাতে কাঁটাতারের বেড়ায় আবদ্ধ না হয়ে যায়, সেজন্য এই উৎসব। দুই বাংলার চলচ্চিত্র শিল্প যদি একসঙ্গে কাজ করে, পৃথিবীতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারবে।’

সংসদ সদস্য সাইমুন সারওয়ার কমল বলেন, ‘সিনেমা জীবনের কথা বলে। সিনেমা মানুষের কথা বলে। সিনেমা অত্যাচারের বিরুদ্ধে কথা বলে। সিনেমা আমাদের জীবনের সুখ-দুঃখের কথা বলে। দুই বাংলার সিনেমা বাঙালির আত্মিক বন্ধনকে আরও দৃঢ় করতে পারে। আমাদের সেই লক্ষ্যে কাজ করে যেতে হবে।’

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, কলকাতার বাংলাদেশ দূতাবাসের উপ-হাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস, রঞ্জন সেন প্রথম সচিব প্রেস, অভিনেত্রী জয়া আহসান, অনির্বাণ ভট্টাচার্য, চঞ্চল চৌধুরী, সংগীত শিল্পী সাব্বির আহমেদ, প্রিয়াঙ্কা বিশ্বাসসহ অনেকেই।

পরে শিল্পীরা অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন।

বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এবং কলকাতার বাংলাদেশ উপ-দূতাবাসের ব্যবস্থাপনায় চর্তর্থ বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসবের ফিল্ম দেখানো হবে নন্দনে।

প্রতিদিন বেলা ১২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত নন্দন-১, ২, ৩ প্রেক্ষাগৃহে ছবি প্রর্দশন হবে। চলবে ২ নভেম্বর পর্যন্ত। পূর্ণদৈর্ঘ্য ও স্বল্পদৈর্ঘ্যের ৩৭টি বাংলাদেশের চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হবে এই উৎসবে।

এ বিভাগের আরো খবর