ফ্রান্সের মার্সেই শহর থেকে কলকাতায় এসে কালো প্রিজন ভ্যানে আটক প্রেমিকের উদ্দেশে ‘উড়ন্ত চুম্বন’ ছুড়ে দিলেন এক ফরাসি তরুণী। এমনই দৃশ্যের সাক্ষী থাকল কলকাতা।
শুক্রবার কলকাতার ব্যাঙ্কশাল কোর্টের সামনে সাইলা স্ট্যাসি নামের সোনালী চুলের এক ফরাসি তরুণীকে প্রিজন ভ্যানে লোহার জালের অন্ধকারে আটক প্রেমিকের উদ্দেশে চুম্বন ছুঁড়ে দিতে দেখা যায়।
বছর চারেক আগে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কাজে ভারতের রাজস্থানে এসেছিলেন সাইলা স্ট্যাসি। ২৩ বছরের সাইলার সঙ্গে কলকাতার তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী কৌস্তভ বিশ্বাসের আলাপ হয় গত বছর গোয়ায় এবং তা ঘনিষ্ঠতায় গড়ায়।
২৫ আগস্ট কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের হাতে গ্রেপ্তার হন কৌস্তভ। পুলিশের অভিযোগ অনলাইনে এলএসডি, এমডিএমের মতো মাদক আনিয়ে ছিলেন কৌস্তভ।
কৌস্তভের মা পাপড়ি বিশ্বাস জানান, ‘পার্সেলটা আসার পরই হাতেনাতে ছেলেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।’
কৌস্তভের গ্রেপ্তারের খবর পৌঁছতেই ফ্রান্স থেকে সরাসরি কলকাতার পিকনিক গার্ডেনে কৌস্তভের বাড়িতে চলে আসেন সাইলা। বাড়িতে কৌস্তভের মা ছাড়া রয়েছেন কৌস্তভের বাবা জাহাজের অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন বিমান বিশ্বাস। তিনি অসুস্থ, শয্যাশায়ী। সাইলা এখন তাদের সঙ্গেই থাকছেন ।
শুক্রবার পাপড়ি দেবীর সঙ্গে ব্যাঙ্কশাল কোর্টে এসেছিলেন ফরাসি কন্যা সাইলা। প্রেমিক কৌস্তভের টানে। ছেলে কৌস্তভের ওপর বিরক্ত মা পাপড়ি দেবী বলেন, ‘বারবার চেষ্টা করেও ছেলের নেশা কাটাতে পারিনি। কোনো চাকরিও বেশি দিন করে না। রিহ্যাব সেন্টারে পাঠিয়ে লাভ হয়নি। এবার জেলে থেকে শাস্তি পাক।’
আর সাইলার দিকে তাকিয়ে তিনি বলেন, ‘কী করবো বলুন, বাচ্চা মেয়েটা এত দূর চলে এসেছে! এদিকে ভিসা শেষ হয়ে গিয়েছে। কোথায় যাবে? ও আমার কাছে থাকুক।’
অন্যদিকে সাইলার ভিসার মেয়াদ বাড়ানো হলেও নিয়ম অনুযায়ী তাকে দেশে ফিরতেই হবে। সাইলা বলেন, ‘মা প্লেনের টিকিট কেটে পাঠিয়ে দিয়েছেন। দেশে যাব কয়েক সপ্তাহ পরে। আবার ফিরে আসব। কৌস্তভকে ভুলব না।’