ইমরান খানের দল তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) নেতা আজম সোয়াতিকে আইএসআই দপ্তরে তুলে নিয়ে নির্যাতনকারী কর্তাদের বরখাস্তের জোর দাবি জানিয়েছেন পিটিআইপ্রধান ও দেশটির সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।
আগাম নির্বাচনের দাবিতে সপ্তাহব্যাপী লংমার্চের অংশ হিসেবে শুক্রবার বিকেলে লাহোরের ‘লিবার্টি চক’-এ আয়োজিত পথসভায় দেয়া ভাষণে এ কথা বলেন ইমরান খান।
শনিবার সকাল ৭টা ৩৩ মিনিটে রাজধানী ইসলামাবাদমুখী যাত্রা শুরু করেন ইমরান। ‘হাক্কেকি আজাদি মার্চ’ শিরোনামে এই শান্তিপূর্ণ পদযাত্রায় অংশ নিয়েছেন হাজারো পিটিআই নেতা-কর্মী।
ইমরান খান আরও বলেন, ‘কোনো প্রতিষ্ঠান, ব্যক্তি বা সামরিক সংস্থার প্রতি তেহরিক-ই-ইনসাফের সমালোচনা হয় গঠনমূলক।’
গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের প্রধান জেনারেল কামার জাবেদ বাজওয়াকে উদ্দেশ করে এমনটি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পিটিআইপ্রধান ইমরান খান।
সাবেক এই ক্রিকেট তারকা অভিযোগ করেন, লংমার্চ বানচাল করতে সরকারের পক্ষ হয়ে আইএসআই নগ্নভাবে হস্তক্ষেপ ও ভয়ভীতি দেখাচ্ছে।
পিটিআইয়ের সত্তরোর্ধ্ব সিনেটর আজম সোয়াতিকে তুলে নিয়ে আইএসআইয়ের দপ্তরে নির্যাতনের অভিযোগ করেন ইমরান। এমন নির্যাতনে জড়িত আইএসআইয়ের মেজর জেনারেল ফয়সাল নাসির ও ফাহিম রেজাকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতির দাবি তোলেন ইমরান।
তিনি আরও বলেন, এর আগেও সরকারের ইন্ধনে পিটিআই নেতা শেহবাজ গিল ও সাংবাদিক জামিল ফারুকির ওপর নিপীড়ন-নির্যাতন চালান গোয়েন্দা সংস্থাটির কর্তারা।
এর আগে, গত ৩ জুন গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইকে ‘স্পেশাল ভেটিং এজেন্সির (এসভিএ)’ মর্যাদা দিয়ে সমালোচিত হন প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ।
এই বিশেষ মর্যাদার ফলে দেশটির বেসামরিক সরকারি কর্মকর্তাদের নৈতিক ও অর্থনৈতিক বিষয়গুলোর ওপর গোয়েন্দা নজরধারিতে আর বাধা থাকল না। সেই সঙ্গে এখন থেকে কর্মকর্তাদের পদায়ন, নিয়োগ, পদোন্নতির ক্ষেত্রে আইএসআইয়ের মূল্যায়ন ও প্রতিবেদনকে আবশ্যিক হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
সরকারি কর্মকর্তাদের ওপর নজরদারির এখতিয়ার দিয়ে নিজ দল পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) ও জোটসঙ্গীদের তোপের মুখে পড়েন শেহবাজ শরিফ।
এপ্রিলে পার্লামেন্টের ভোটে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে ইমরান পাকিস্তানজুড়ে সমাবেশ করছেন।
ইমরানের গাড়িবহর লাহোর থেকে উত্তরে গ্র্যান্ড ট্রাঙ্ক রোড ধরে ইসলামাবাদের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এক সপ্তাহে ৩৮০ কিলোমিটারের বেশি পথ পাড়ি দিয়ে ৪ নভেম্বর ইসলামাবাদে পৌঁছাবে ইমরানের লংমার্চ। পথে বিভিন্ন জায়গায় সমাবেশ করে সমর্থন জোরদার করবেন ইমরান।