বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পারমাণবিক ধ্বংসযজ্ঞ প্রশ্নে নীরব পুতিন

  •    
  • ২৮ অক্টোবর, ২০২২ ২১:৩৪

চার বছর আগে পুতিন বলেছিলেন, পরমাণু অস্ত্রের কারণে যদি পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যায় তবে রাশিয়ান ভুক্তভোগীরা সবাই স্বর্গে যাবে। বৃহস্পতিবার ওই মন্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে অন্যমনস্ক হয়ে যান রুশ প্রেসিডেন্ট।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আট মাস চলছে। রুশ বাহিনীর তীব্র হামলায় একের পর এক ইউক্রেনীয় শহর ধ্বংসস্তুপে পরিণত হচ্ছে। পশ্চিমের সহায়তায় কিয়েভও বিভিন্ন জায়গায় শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তুলছে। এসবের মধ্যেই পূর্ব ইউক্রেনের চারটি বিদ্রোহী অধ্যুষিত অঞ্চল ‘গণভোটের’ মাধ্যমে নিজেদের মানচিত্রে অন্তর্ভূক্ত করে নিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

২৪ ফেব্রুয়ারি যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই পরমাণু অস্ত্রের ব্যবহার নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছিলেন অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষক। ইউক্রেনে অভিযান শুরুর কদিন বাদেই কৌশলগত পারমাণবিক শক্তির মাত্রা বাড়ানোর আদেশ দিয়ে পুতিন সেই আশঙ্কাকে আরও উসকে দেন।

পশ্চিমা গোয়ান্দারা সম্প্রতি দাবি করছে, ইউক্রেনে কৌশলগত পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করতে পারে মস্কো। এমন প্রেক্ষাপটে গত বুধবার পরমাণু অস্ত্রের মহড়া চালায় রাশিয়া। আর এই মহড়া তদারকি করেন খোদ ভ্লাদিমির পুতিন।

রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু জানান, শত্রুর পারমাণবিক হামলার প্রতিক্রিয়া জানাতে রুশ বাহিনীর প্রস্তুতির এই মহড়া।

যুদ্ধের এই সময়ে রাশিয়ার পরমাণু অস্ত্রের মহড়া বিশ্বকে নতুন ভাবনায় ফেলে দিয়েছে। অনেকেই আশঙ্কা করছেন, এবার বুঝি ইউক্রেনে পরমাণু অস্ত্র ফেলবেন পুতিন। বিষয়টি নিয়ে রুশ মিডিয়ায়ও গুঞ্জন চলছে।

রাশিয়ার রাজধানীতে বৃহস্পতিবার মস্কোভিত্তিক থিঙ্কট্যাঙ্ক ভালদাই ডিসকাশন ক্লাবের একটি আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন পুতিন। প্রেসিডেন্টকে কাছে পেয়ে চার বছর আগে তার করা একটি মন্তব্য নিয়ে ‘রসিকতা’ করেন ক্লাবের মডারেটর ফিওদর লুকিয়ানভ।

পুতিনকে তিনি বলেন, পরমাণু ইস্যুতে ২০১৮ সালে আপনার করা একটি মন্তব্য মনে পড়ায় আমরা সবাই দুশ্চিন্তায় পড়ে গেছি।

চার বছর আগে পুতিন বলেছিলেন, পরমাণু অস্ত্রের কারণে যদি পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যায় তবে রাশিয়ান ভুক্তভোগীরা সবাই স্বর্গে যাবে।

মডারেটর ফিওদর বলেন, ‘আমরা সেখানে পৌঁছানোর জন্য তাড়াহুড়ো করছি না, করছি কি?

এমন প্রশ্নের জন্য হয়ত প্রস্তুত ছিলেন না পুতিন। শুরুতে তাই খানিকটা অন্যমনস্কের ভান ধরেন তিনি।

কয়েক সেকেন্ড চুপ ছিলেন পুতিন। এ সময় উপস্থিত কয়েকজন হেসে উঠেন। মডারেটর নীরবতা ভেঙে বলেন, ‘আপনি চিন্তায় মগ্ন হওয়ায় বিষয়টি এখন আরও উদ্বেগজনক হয়ে উঠছে।’

প্রেসিডেন্ট পুতিন তখন হেসে বলেন, ‘আপনাকে সতর্ক করতে ইচ্ছা করেই চিন্তায় হারিয়ে গিয়েছিলাম। এতে মনে হয় কাজ হয়েছে।’

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনকে ২০১৮ সালে পারমাণবিক যুদ্ধের সম্ভাবনা সম্পর্কে প্রশ্ন করা হয়েছিল। জবাবে তিনি বলেছিলেন, মস্কো কখনই আগে থেকে পারমাণবিক হামলা চালাবে না। আক্রান্ত হলেই কেবল হামলা চালাব।

‘আমরা তখনই পারমাণবিক ওয়ারহেডগুলোকে প্রস্তুত করব, যখন কোনো আগ্রাসী রাষ্ট্র আমাদের ভূখণ্ড লক্ষ্য করে মিসাইল উৎক্ষেপণ করবে।

‘হামলাকারীদের এটা জানা জরুরি যে প্রতিশোধ অনিবার্য এবং আমরা আগ্রাসী হলে তারা ধ্বংস হয়ে যাবে। অন্যদিকে আগ্রাসনের শিকার হলে শহীদ হিসেবে স্বর্গে যাবে রাশিয়ানরা; যখন অন্যরা কেবল মারা পড়বে। তারা অনুতাপ করার সুযোগও পাবে না।’

এ বিভাগের আরো খবর