বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিশ্বকে রাশিয়ার ওপর হামলার আহ্বান জেলেনস্কির

  •    
  • ২৩ অক্টোবর, ২০২২ ১১:২৪

কিয়েভে পরমাণু হামলা চালালে বিশ্বের উচিত রাশিয়াকে সামরিক উপায়ে এর জবাব দেয়া। এমনটাই বিবিসির সঙ্গে সাক্ষাৎকারে বলেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি। শুধু তা-ই নয়, এই প্রথমবার সব রুশ নাগরিককে তিনি সন্ত্রাসী হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।

বিশ্বের উচিত রাশিয়াকে স্পষ্ট করে দেয়া যে তারা ইউক্রেনের বিরুদ্ধে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করলে তাৎক্ষণিক সামরিক হামলার মুখোমুখি হতে হবে।

রাশিয়া টুডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে সিবিসি ও সিটিভিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই বলেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি।

এই সাক্ষাৎকারে রাশিয়াকে সন্ত্রাসী রাষ্ট্র হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, মস্কো শুধু শক্তির ভাষা বোঝে।

জেলেনস্কি বারবার অভিযোগ করেছেন, ইউক্রেনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ কেন্দ্রে (প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ে) বারবার আক্রমণের হুমকি দিচ্ছে রাশিয়া, এর মধ্যে পারমাণবিক অস্ত্রের হুমকিও রয়েছে। বিশ্বের উচিত এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানানো।

তিনি বলেন, ‘ইউক্রেন একটি ন্যাটো সদস্য বা নন-ন্যাটো দেশ কি না তা বিবেচ্য নয়। কাউকেই সন্ত্রাসীর মতো (অন্য দেশগুলোকে) ব্ল্যাকমেইল করতে দেয়া উচিত নয়।’

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘বিশ্বের উচিত রাশিয়াকে বলা, আপনি যদি ব্যাঙ্কোভা স্ট্রিটে(ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের কার্যালয়) আক্রমণ করেন আপনি যেখানে থাকবেন, সেখানেই প্রতিক্রিয়া হবে।’

জেলেনস্কির মতে, এই ধরনের বৈশ্বিক অবস্থান কোনো ব্ল্যাকমেইল নয়, বরং এটি আত্মরক্ষামূলক পদক্ষেপ, যা হুমকি দেয়াদের (রাশিয়াকে) পরিকল্পনা মোতাবেক কাজ করতে বাধা দেবে।

তিনি বলেন, ‘যে কেউ দীর্ঘ সময় মানবতাবাদের কথা বলতে পারে। কিন্তু তার জাতি এমন একটি পরিস্থিতিতে বাস করে, যেখানে তার একটি প্রতিবেশী (রাশিয়া) শক্তি ছাড়া কিছুই বোঝে না।’

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট এবারের সাক্ষাৎকারে ইউক্রেনে হামলার জন্য সব রুশ নাগরিকের ওপরই দোষ চাপিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘রাশিয়ান ফেডারেশনের সমাজকে অবশ্যই জানতে হবে যে তারা আমাদের (ইউক্রেনীয়) সমাজকে আক্রমণ করেছে। তিনি বলেন, রাশিয়ানরা সন্ত্রাসী কর্তৃপক্ষকে সমর্থন করে। যদি আপনারা (রাশিয়ানরা) প্রেসিডেন্ট পুতিনকে চাপ না দেন, বিশ্ব আপনাদের থেকে নিজেকে বিচ্ছিন্ন করবে।’

এ সময় রাশিয়ার সব নাগরিককে সন্ত্রাসী হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন তিনি।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট এই ধরনের আবেদন প্রথমবার করেননি। এর আগে পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহার রোধ করতে ন্যাটোকে রাশিয়ার ওপর প্রতিরোধমূলক হামলা চালানোর আহ্বান জানিয়েছিলেন তিনি।

রাশিয়ার পরমাণু বাহিনী

সেই সময়ে তার কথাগুলো মস্কো থেকে একটি ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ার জন্ম দেয় এবং ক্রেমলিন জেলেনস্কিকে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু করার চেষ্টা করার জন্য অভিযুক্ত করে।

জেলেনস্কি পরে তার মন্তব্য ফিরিয়ে নেন ও বিবৃতি থেকে সরে আসেন। তিনি দাবি করেছিলেন যে এটি আসলে ভুল-বোঝাবুঝি হয়েছে। তিনি প্রতিরোধের কথা বলেছেন। রাশিয়ায় আক্রমণের বিষয়ে কিছু বলেননি। নিষেধাজ্ঞার কথা বুঝিয়েছিলেন।

এর আগে সেপ্টেম্বরে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছিলেন যে রাশিয়ার হাতে থাকা সব উপায় (পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের ইঙ্গিত) ব্যবহার করে তার অঞ্চল রক্ষা করবে এবং তার জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সবকিছু করবে।

একই সময়ে পুতিন আরও বলেন যে মস্কো কিয়েভের সঙ্গে আলোচনার জন্য প্রস্তুত এবং সে সময় ইউক্রেনকে তিনি সব শত্রুতা বন্ধ করতে এবং আলোচনার টেবিলে ফিরে আসার আহ্বান জানিয়েছিলেন। সে সময় তিনি ইউক্রেনের চারটি অঞ্চলকে রাশিয়ার মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে যুক্ত করার ঘোষণা দেন।

এ বিভাগের আরো খবর