অর্থনৈতিকভাবে বিপর্যস্ত মধ্যপ্রাচ্যের একসময়ের ধনী দেশ লেবাননে কলেরার প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে।
প্রতিবেশী দেশ সিরিয়া থেকে এই ভাইরাসজনিত রোগ লেবাননে এখন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। বুধবার জনস্বাস্থ্য বিষয়ক তত্ত্বাবধায়ক মন্ত্রী ফিরাস আবিয়াদ সাংবাদিকদের এমনটাই জানিয়েছেন।
তিনি আরও জানান, লেবাননে প্রথম কলেরা শনাক্ত হয় গত ৫ অক্টোবর দেশটির উত্তরের গ্রামীণ অঞ্চল আক্কারে। আক্রান্ত ব্যক্তি একজন সিরীয় নাগরিক। বর্তমানে তিনি চিকিৎসা নিচ্ছেন এবং তার অবস্থা স্থিতিশীল।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুসারে ৬ অক্টোবর থেকে লেবাননে ১৬৯ জন কলেরা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে অর্ধেক শনাক্ত হয়েছে গত দুই দিনে। আক্রান্তদের মধ্যে অধিকাংশই সিরীয় শরণার্থী।
এরই মধ্যে দেশটিতে কলেরায় আক্রান্ত হয়ে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর আগে সবশেষ ১৯৯৩ সালে দেশটিতে কলেরা শনাক্ত হয়।
লেবাননের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা এমন পরিস্থিতির জন্য দেশের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংকটকে দায়ী করছেন, যা দেশটির নাগরিকদের দরিদ্র করেছে এবং বাজে স্যানিটেশন অবকাঠামোতে নিয়ে গেছে।
এ ছাড়া প্রতিবেশী দেশ সিরিয়ায় ১০ বছর ধরে চলা গৃহযুদ্ধে লেবাননে এসে আশ্রয় নিয়েছে ১০ লাখেরও বেশি শরণার্থী। অর্থনৈতিকভাবে বিপর্যস্ত দেশটিকে শরণার্থী পরিস্থিতিও সামাল দিতে হচ্ছে। ফলে সিরীয় শরণার্থীদের এমন স্থানে থাকতে হচ্ছে, যেখানে বিশুদ্ধ পানি ও মানসম্মত স্যানিটেশনের ব্যবস্থা নেই।
লেবাননের আক্কার থেকে আল জাজিরার প্রতিবেদক জেইনা খোদর বলেন, ‘স্যানিটেশনের অভাব জনাকীর্ণ শিবিরগুলোকে উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলে পরিণত করে। শনাক্তের ঘটনা শুধু সিরিয়ার সীমান্তবর্তী শিবিরগুলোতেই সীমাবদ্ধ নয়, লেবাননের দরিদ্র অঞ্চলগুলোতেও ছড়িয়ে পড়ছে।’