বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

দেউলিয়ার পথে জার্মানির হাসপাতালগুলো

  •    
  • ১৭ অক্টোবর, ২০২২ ১২:১০

ইউক্রেনে চলমান সামরিক অভিযানের কারণে রাশিয়ার ওপর ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞায় পাল্টা প্রভাব পড়ছে ইউরোপের দেশগুলোতে। ইউরোপীয় অর্থনৈতিক পাওয়ার হাউস জার্মানিও এর বাইরে নয়। এবার মুদ্রাস্ফীতি ও জ্বালানির দাম বৃদ্ধি প্রভাব ফেলেছে দেশটির স্বাস্থ্যসেবা খাতে। দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে বন্ধ হয়ে যেতে পারে অনেক হাসপাতাল।

ইউক্রেনে চলমান রুশ সামরিক অভিযানের প্রেক্ষাপটে জ্বালানি সংকটে আছে ইউরোপের সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক শক্তির দেশ জার্মানি। এমন পরিস্থিতিতে এবার হুমকিতে পড়েছে দেশটির স্বাস্থ্যসেবাও।

দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী কার্ল লাউটারবাচ রোববার বলেছেন, ফেডারেল সরকার সহায়তা না করলে জার্মানির অনেক হাসপাতাল জ্বালানি মূল্যবৃদ্ধি ও মুদ্রাস্ফীতির কারণে দেউলিয়া হয়ে যেতে পারে।

তিনি বলেন, ‘যদি আমরা দ্রুত এবং সত্যিই কঠোরভাবে প্রতিক্রিয়া না জানাই, তাহলে (অনেক হাসপাতাল) বন্ধ হয়ে যাবে, কারণ আগামী কয়েক মাসে হাসপাতালগুলো মারাত্মক তারল্য সংকটে পড়বে।’

জার্মান হসপিটাল ফেডারেশন গত সপ্তাহে অভিযোগের সুরে জানিয়েছে, ২০২২ ও ২০২৩ সালে তহবিলের ব্যবধান হবে ১ হাজার ৫০০ কোটি ইউরো।

এদিকে লাউটারবাখ বলছেন, আগামী বছর বিদ্যুৎ কতটা ব্যয়বহুল হবে তা কেউ অনুমান করতে পারছে না।

যদিও ফেডারেশন বলছে, বর্তমান সংকটের জন্য জ্বালানির দাম বৃদ্ধির দায় এক-তৃতীয়াংশ। বাকি দায় চলমান মূল্যস্ফীতির। এরই মধ্যে জার্মানিতে মুদ্রাস্ফীতির হার নব্বইয়ের পূর্ব ও পশ্চিম জার্মানির পুনঃ একত্রীকরণের পর সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। ফলে হাসপাতালের ব্যবস্থাপনায় খরচ বেড়েছে। এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য দরকার অর্থ মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা।

এদিকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী কার্ল লাউটারবাচ মঙ্গলবার অর্থমন্ত্রী ক্রিশ্চিয়ান লিন্ডনারের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছেন চলমান সংকটের বিষয়ে সরকারের সহায়তা নিয়ে আলাপ করতে।

তবে আসন্ন সংকটে এ আলোচনায় খুব একটা সমাধান আসবে না। এমনও ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘হাসপাতালগুলো একটি বিশেষ পরিস্থিতিতে রয়েছে। আমরা প্রতিটি ক্ষেত্রের জন্য আলাদা বিশেষ তহবিল তৈরি করতে পারি না।’

ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলো বর্তমানে তীব্র জ্বালানি সংকট ও মুদ্রাস্ফীতির বিরুদ্ধে লড়াই করছে। গ্যাসের দাম রেকর্ড মাত্রায় পৌঁছেছে।

ইউক্রেনে রুশ সামরিক অভিযান শুরু করার আগে এবং পরবর্তী নিষেধাজ্ঞার আগে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ৪০ শতাংশেরও বেশি গ্যাসের চাহিদা পূরণ করত রাশিয়া।

নিষেধাজ্ঞার কারণে এই বছর সরবরাহ নাটকীয়ভাবে কমে গেছে। যার প্রভাব পড়েছে ইউরোপে।

এ বিভাগের আরো খবর