রাত পোহালেই ভারতের প্রধান বিরোধী রাজনৈতিক দল ন্যাশনাল কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচনের ভোট। ২৪ বছর পর গান্ধি পরিবারের বাইরের কেউ হবেন কংগ্রেস সভাপতি। ভোটে লড়ছেন কর্ণাটকের সংসদ সদস্য মল্লিকার্জুন খারগে এবং কেরালার সংসদ সদস্য শশী থারুর।
সোমবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪ পর্যন্ত ভোট চলবে ভোটগ্রহণ করা হবে। ফল ঘোষণা হবে ১৯ অক্টোবর।
কংগ্রেসের ১৩৭ বছরের ইতিহাসে এই নিয়ে ষষ্ঠবার সভাপতি নির্বাচন হচ্ছে। এর আগে, ২০১৭ সালে রাহুল গান্ধি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন। তবে গত চার বছরে সারা দেশে কংগ্রেসের দৈন্যদশা আরও প্রকট হয়েছে। বলা চলে, অস্তিত্ব সংকটে ভুগছে দেশের অন্যতম রাজনৈতিক দলটি। পরিস্থিতি মোকাবিলায় ক্রান্তিকালের কান্ডারি খুঁজছে দলটি।
ভারতের প্রতিটি রাজ্যে প্রদেশ কংগ্রেস দপ্তর এবং রাজধানী দিল্লিতে এআইসিসি-র অফিসে ভোট গ্রহণের ব্যবস্থা থাকবে। ৯ হাজারের বেশি প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির প্রতিনিধি গোপন ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দেবেন।
১৮ অক্টোবর প্রতিটি রাজ্যের প্রদেশ কংগ্রেস দপ্তর থেকে ব্যালট বক্স যাবে দিল্লির এআইসিসি-র দপ্তরে। সেখানে সোনিয়া গান্ধী ও মনমোহন সিং-সহ ৫০ জনের বেশি কংগ্রেস কর্মী ভোট দেবেন। পরদিন গণনার পর ফল প্রকাশ হবে।
বলা হচ্ছে, গান্ধি পরিবারের ঘনিষ্ঠ হওয়ায় সভাপতি নির্বাচনে কিছুটা এগিয়ে আছেন খারগে। অন্যদিকে সুবক্তা হিসেবে সুনাম আছে শশী থারুর।
দুই প্রার্থীই ভারতজুড়ে জোরেশোরে প্রচার চালিয়েছেন। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের সঙ্গে এক সাক্ষাত্কারে খারগে বলেছিলেন, ‘সোনিয়া কংগ্রেসের একজন ‘মূল খেলোয়াড়’। গান্ধীদের নির্দেশনা এবং পরামর্শ ছাড়া দল কাজ করতে পারে না।
‘আমার কাছে অগ্রাধিকার হলো উদয়পুরের চিন্তন শিবিরে ঘোষিত সাংগঠনিক সংস্কারগুলো বাস্তবায়ন করা।’
অন্যদিকে প্রচার নিয়ে বিস্তর অভিযোগ রয়েছে থারুর। তার দাবি, বেশ কয়েকটি পিসিসি প্রধান এবং সিনিয়র নেতারা তাদের নিজ নিজ রাজ্যে তার সফরের সময় সাক্ষাতের জন্য প্রস্তুত ছিলেন না। তবে খারগেকে তারা সবাই স্বাগত জানিয়েছিলেন।