বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

গাম্বিয়ায় ৬৬ শিশুর মৃত্যু: ভারতে সিরাপ উৎপাদন বন্ধ

  •    
  • ১৩ অক্টোবর, ২০২২ ১২:১৮

গত কয়েক মাসে গাম্বিয়ায় কিডনি অকার্যকর হয়ে ৬৬ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। শিশুদের এমন মৃত্যুতে তদন্ত শুরু করে গাম্বিয়া সরকার। তারা দেখতে পায়, মারা যাওয়া শিশুরা একটা নির্দিষ্ট কোম্পানির কাশির সিরাপ খাওয়ার পর অসুস্থ হয়ে পড়েছিল।

ভারতে বানানো কাশির সিরাপ সেবনে আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়ায় ৬৬ শিশুর মৃত্যুর পর সিরাপ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান মেডেন ফার্মাসিউটিক্যালকে উৎপাদন বন্ধের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফার্মাসিউটিক্যালটির উৎপাদন ও মান নিশ্চিতকরণে নিয়ম অমান্য করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতের ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

নিয়ন্ত্রকরা বলছেন, তারা নয়াদিল্লিভিত্তিক ফার্মাসিউটিক্যালটির সব উৎপাদন কার্যক্রম স্থগিত করেছেন। কারণ এটি বেশ কয়েকটি সুরক্ষা নিয়ম ভঙ্গ করেছে।

সিরাপগুলো হলো প্রোমেথাজিন ওরাল সলিউশন, কোফেক্সমালিন বেবি কফ সিরাপ, মাকফ বেবি কফ সিরাপ এবং ম্যাগ্রিপ এন কোল্ড সিরাপ।

গত কয়েক মাসে গাম্বিয়ায় কিডনি অকার্যকর হয়ে ৬৬ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। শিশুদের এমন মৃত্যুতে তদন্ত শুরু করে গাম্বিয়া সরকার। তারা দেখতে পায়, মারা যাওয়া শিশুরা একটা নির্দিষ্ট কোম্পানির কাশির সিরাপ খাওয়ার পর অসুস্থ হয়ে পড়েছিল।

ঘটনাটি নজরে আসায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিওএইচও) তদন্ত শুরু করে। এরপর ভারতে তৈরি চারটি কাশির সিরাপে ‘পণ্য সতর্কতা’ জারি করে ডব্লিউএইচও। নিয়ন্ত্রকদের এসব সিরাপ বিক্রি বন্ধ করার পরামর্শও দেয় তারা।

বিষয়টি নিয়ে ভারত ও গাম্বিয়ায় তদন্ত চলছে। এ বিষয়ে মেডেন ফার্মাসিউটিক্যাল কর্তৃপক্ষের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

ভারত বিশ্বের এক-তৃতীয়াংশ ওষুধ উৎপাদন করে; বেশির ভাগই জেনেরিক ওষুধ আকারে। দ্রুত বর্ধনশীল কিছু ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানির আবাসস্থল ভারত ‘বিশ্বের ফার্মাসি’ নামেও পরিচিত। আফ্রিকান দেশগুলোর বেশির ভাগ চিকিৎসা চাহিদা পূরণ করে থাকে দক্ষিণ এশিয়ার দেশটি।

মেডেন ফার্মাসিউটিক্যালস এশিয়া, আফ্রিকা ও লাতিন আমেরিকার দেশগুলোতে পণ্য রপ্তানি করে।

কয়েক ডজন শিশুর কিডনিতে গুরুতর সমস্যা ধরা পড়ার পর গাম্বিয়ার স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জুলাইয়ে প্রথম সতর্কতা জারি করেন।

গাম্বিয়ার স্বাস্থ্য পরিষেবার পরিচালক মুস্তাফা বিত্তায়ে বলেন, ‘সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে মৃত্যু কমেছে। তারা এই প্রতিষ্ঠানের পণ্য বিক্রি নিষিদ্ধ করেছে।

‘তার পরও কিছু বেসরকারি ক্লিনিক ও হাসপাতালে এখনও এই ওষুধ বিক্রি হচ্ছে।’

এ বিভাগের আরো খবর