নতুন করে কোরীয় উপদ্বীপে দূরপাল্লার কৌশলগত ক্ষেপণাস্ত্রের দুটি পরীক্ষা চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া। ক্ষেপণাস্ত্রগুলো পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম।
বৃহস্পতিবার সকালে কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কেসিএনএর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুধবার সকালে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষাটি করা হয়েছিল এবং এর লক্ষ্য ছিল কোরিয়ান পিপলস আর্মিতে মোতায়েন করা ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের যুদ্ধ সক্ষমতা ও শক্তি বাড়ানো।
কেসিএনএ জানিয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা সফল হয়েছে। ২ হাজার কিলোমিটার (১ হাজার ২৪০ মাইল) দূরত্ব অতিক্রম করে ক্ষেপণাস্ত্রগুলো তাদের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করে।
কিম জং উন তার দেশের কৌশলগত পারমাণবিক হামলার সক্ষমতার আরেকটি সফল প্রদর্শনের প্রশংসা করেছেন। এরই মধ্যে দেশটির কাছে কৌশলগত পারমাণবিক বোমা রয়েছে।
এই পরীক্ষাটি উত্তর কোরিয়ার শত্রুদের জন্য সতর্কবার্তা উল্লেখ করে কিম বলেন, ‘যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ সামরিক সংকট ও যুদ্ধ সংকটকে দৃঢ়ভাবে প্রতিহত করতে পারমাণবিক কৌশলগত সশস্ত্র বাহিনীর অপারেশনাল ক্ষেত্র সম্প্রসারণ চালিয়ে যাওয়া উচিত।’
উত্তর কোরিয়ার সাম্প্রতিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা এ অঞ্চলে উত্তেজনা বৃদ্ধি করবে। এ ছাড়া এই পরীক্ষা গত পাঁচ বছরের মধ্যে প্রথম পারমাণবিক হামলা চালানোর আশঙ্কা বাড়িয়ে দিয়েছে।
এর আগে চলতি মাসের শুরুর দিকে জাপানের ওপর দিয়ে একটি মধ্যম পাল্লার ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছিল উত্তর কোরিয়া। এরই পরিপ্রেক্ষিতে জাপানের অনেক অঞ্চলে সতর্কতা সিস্টেমও চালু করা হয়েছিল।
গত পাঁচ বছরের মধ্যে এই প্রথমবারের মতো এমন ঘটনা ঘটল।
জাপান সরকার ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার ঘটনাকে আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে বর্ণনা করেছিল।
এর আগে ২০১৭ সালেও একবার জাপানের ওপর দিয়ে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছিল কিম জং উন শাসিত দেশটি।
জাপানের কিয়োডো নিউজ এজেন্সি জানিয়েছিল, উত্তর কোরিয়া ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ায় জাপান সরকার দেশটির উত্তরের প্রধান দ্বীপ হোক্কাইডো এবং উত্তর-পূর্ব আওমোরি প্রিফেকচারের বাসিন্দাদের জন্য এলার্ট সিস্টেম সক্রিয় করে।
এমনকি অঞ্চলগুলোর ট্রেন পরিষেবা সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল।