বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রাশিয়ার পরমাণু অস্ত্রের ট্রেন সচল, ঘাঁটিও ছেড়েছে পরমাণু সাবমেরিন

  •    
  • ৪ অক্টোবর, ২০২২ ০৮:৩৭

রাশিয়ার দখল করা একের পর এক অঞ্চল পুনরুদ্ধারের দাবি করছে কিয়েভ। এমন পরিস্থিতিতে প্রথাগত যুদ্ধে পিছিয়ে পড়লেও রাশিয়ার পরমাণু বাহিনী তৎপরতা শুরু করেছে। কিন্তু এটি কি কোনো মহড়ার প্রস্তুতি, নাকি সত্যিই ইউক্রেনে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করতে যাচ্ছে রাশিয়ার সেনারা। উদ্দেশ্য এখনও স্পষ্ট নয়।

ক্রিমিয়ার পর নতুন করে ইউক্রেনের চার অঞ্চলকে রাশিয়ার ভূখণ্ডের সঙ্গে যুক্ত করার আনুষ্ঠানিক ঘোষণাকে তোয়াক্কা করছে না ইউক্রেনীয় সেনারা। এরই মধ্যে দোনেৎস্কের গুরুত্বপূর্ণ শহর লেমিন থেকে রুশ সেনাদের হটিয়ে দেয়ার দাবি করেছে কিয়েভ। এ ছাড়া খেরসন অঞ্চলের দুটি শহরকে পুনরুদ্ধারের দাবি করেছেন প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি।

এমন পরিস্থিতিতে যখন প্রথাগত যুদ্ধে রাশিয়ার সেনারা সাফল্য আনতে পারছে না তখন রাশিয়ার পরমাণু বাহিনীর তৎপরতা শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে ডেইলি মেইলের এক প্রতিবেদনে

রাশিয়ার পরমাণু অস্ত্রের সরঞ্জামবাহী ট্রেন এরই মধ্যে যাত্রা শুরু করেছে। তবে এর গন্তব্য অজানা। ট্রেনটি রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণে থাকা পরমাণু অস্ত্র সংক্রান্ত বিভাগের। যারা মূলত পরমাণু অস্ত্র মজুত, রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকে।

রাশিয়া পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করবে- এমনটা এখনও নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।

সমর বিশারদ কনরাদ মুসিকা বলেন, ‘পরমাণু ইউনিটের ভারী সামরিক সরঞ্জাম চলাচলের মানে এই নয় যে রাশিয়া ইউক্রেনে পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েনের প্রস্তুতি নিচ্ছে।’

তবে মুসিকার মতে, এটি (রাশিয়া) পশ্চিমের কাছে একটি সংকেত হতে পারে যে মস্কো সংঘাতের পরিধি বাড়াচ্ছে।

রাশিয়ার স্ট্র্যাটেজিক রকেট ফোর্সেস

তবে বছরের এ সময় এমনিতেও রাশিয়ার স্ট্র্যাটেজিক রকেট ফোর্সেস (আরভিএসএন) শরৎকালীন মহড়া চালিয়ে থাকে।

আরভিএসএন হচ্ছে রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনীর একটি বিশেষ শাখা, যা দেশটির পারমাণবিক প্রতিরক্ষা ও প্রতিরোধ কর্মসূচির ভিত্তি। এই বাহিনী বিশ্বের সবচেয়ে বড় পরমাণু অস্ত্রবাহী ক্ষেপণাস্ত্রসংক্রান্ত বাহিনী।

আরভিএসএন অনেক মিসাইল রেজিমেন্টের সমন্বয়ে গঠিত। যাদের কাছে আছে হাজার হাজার পারমাণবিক অস্ত্র ও আন্তর্মহাদেশীয় ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (আইসিবিএম)।

এদিকে শুধু পরমাণু অস্ত্রের সরঞ্জামবাহী ট্রেনই নয়। পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটো জানিয়েছে, আর্কটিকে থাকা রাশিয়ার নৌঘাটি থেকে পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম ‘বেলগরোদ’ পরমাণু শক্তিচালিত সাবমেরিন ঘাঁটি ছেড়ে গেছে।

পোসাইডন

ন্যাটো বলছে, বেলগরোদ সাবমেরিনটি ‘কারা’ সাগরে বিশেষ পরমাণু অস্ত্র পোসাইডন পরীক্ষা করতে পারে।

পোসাইডন হলো এমন এক পারমাণবিক ড্রোন, যা উপকূলীয় অঞ্চলে ১ হাজার ৬০০ ফুট উচ্চতার সুনামি তৈরি করতে পারে।

এর আগে সম্প্রতি রুশ সামরিক ব্যর্থতার কারণে চেচেন প্রজাতন্ত্রের নেতা রমজান কাদিরভ ইউক্রেনে স্বল্পমাত্রার পারমাণবিক বোমা ব্যবহারের আহ্বান জানিয়েছিলেন।

যদিও কাদিরভের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে ক্রেমলিন মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ স্পষ্ট করে বলেছিলেন, আবেগ দিয়ে নয়। নিউক্লিয়ার ডকট্রেইন (পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের নীতি) মোতাবেক সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

এ বিভাগের আরো খবর