বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আমেরিকা-ইসরায়েলের নকশায় বিক্ষোভ: খামেনি

  •    
  • ৩ অক্টোবর, ২০২২ ১৮:৪৬

চলমান বিক্ষোভ নিয়ে সোমবার মুখ খুলেন ইরানের সবচেয়ে ক্ষমতাধর নেতা খামেনি। তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশের স্নাতক ক্যাডেটদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘এই দাঙ্গা এবং বিশৃঙ্খলার নকশা করেছে আমেরিকা ও ইহুদিগোষ্ঠী ইসরায়েল। তারা বিক্ষোভকারীদের আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে। কিছু দেশদ্রোহী প্রবাসী ইরানিও অর্থ ঢালছে।  

নারীর পোশাকের স্বাধীনতার দাবিতে চলমান বিক্ষোভের জন্য আমেরিকা ও ইসরায়েলকে দুষলেন ইরানে সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি। তিনি বলেছেন, ইরানের অগ্রগতি ঠেকাতে বিক্ষোভ উসকে দিচ্ছে ওয়াশিংটন ও তেল আবিব।

২০১৯ সালের পর সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ দেখছে ইরান। সরকারবিরোধী বিক্ষোভকে সোমবার ‘দাঙ্গা’ বলে অ্যাখ্যা দিয়েছেন ৮৩ বছরের খামেনি।

হিজাব ইস্যুতে গ্রেপ্তার কুর্দি নারী মাহসা আমিনি ১৬ সেপ্টেম্বর মারা গেলে, বিক্ষোভে ফেটে পড়ে ইরানের জনগণ। পুলিশ মাহসাকে হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করলেও, পরিবারের অভিযোগ গ্রেপ্তারের পর তাকে পেটানো হয়।

মাহসার মৃত্যুর পর রাস্তায় বিক্ষোভের পাশাপাশি ফেসবুক টুইটারে #mahsaamini এবং #Mahsa_Amini হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে চলছে প্রতিবাদ। নিরাপত্তা বাহিনীর দমন-পীড়নের মধ্যেই বিক্ষোভ ছড়িয়ে গোটা ইরানে।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৬ সেপ্টেম্বর মারা যান মাহসা আমিনি

চলমান বিক্ষোভ নিয়ে সোমবার মুখ খুলেন ইরানের সবচেয়ে ক্ষমতাধর নেতা খামেনি। তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশের স্নাতক ক্যাডেটদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘এই দাঙ্গা এবং বিশৃঙ্খলার নকশা করেছে আমেরিকা ও ইহুদিগোষ্ঠী ইসরায়েল। তারা বিক্ষোভকারীদের আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে। কিছু দেশদ্রোহী প্রবাসী ইরানিও অর্থ ঢালছে।

‘যে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে, তাতে এক তরুণী মারা গেছে। এই মৃত্যু আমাদেরও কষ্ট দিয়েছে। তবে তদন্তের আগেই জনগণ প্রতিক্রিয়া দেখাতে শুরু করেছে। রাস্তায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে, কেউ কেউ কোরআন পুড়িয়ে দিচ্ছে, নারীরা হিজাব খুলে পুড়িয়ে দিচ্ছে। মসজিদ ও বেসামরিক নাগরিকের গাড়িও রেহাই পাচ্ছে না। এগুলো কোনো স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া না।’

ইরানকে অস্থিতিশীল করতে সামনে আরও বিদেশি তৎপরতা দেখা যাবে বলে সতর্ক করেছেন খামেনি। বলেছেন, আমিনির মৃত্যু না হলে অন্য ‘অজুহাত’ বের করত তারা।

ইরানের অন্তত ৮০ শহরে ছড়িয়েছে বিক্ষোভ

অস্থিরতা ছড়িয়ে ইরানের অগ্রগতি ঠেকাতে চাচ্ছে আমেরিকা ও ইসরায়েল। ইরানের পরমাণু চুক্তি থেকে একতরফা সরে গিয়ে ওয়াশিংটন ২০১৮ সালেই তা প্রমাণ করেছে।

খামেনি বলেন, ‘আমরা যে পূর্ণ শক্তির একটি দেশে পরিণত হতে এগিয়ে যাচ্ছি, সেটা তারা বুঝতে পারছে। তাই তারা আমাদের অগ্রগতি সহ্য করতে পারছে না।’

চলমান বিক্ষোভে বিভিন্ন সহিংস ঘটনায় অন্তত ১৩৩ জন নিহত হয়েছেন। এই অবস্থায় ইরানে আরও নিষেধাজ্ঞার কথা বিবেচনা করছে আমেরিকা। বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে ইরান সরকার ইন্টারনেট সেবা সীমিত করলে, নিষেধাজ্ঞা শিথিল করে বিক্ষোভকারীদের সহায়তা করছে ওয়াশিংটন।

এ বিভাগের আরো খবর