ইন্দোনেশিয়ার উত্তর জাভা প্রদেশে ফুটবল মাঠে পরাজিত দলের সমর্থকদের হাঙ্গামার সময় পদদলিত হয়ে ১২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে নতুন আপডেটে জানিয়েছে দেশটির সরকার। শুরুতে সংখ্যাটা ১৭৪ বলে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোকে জানিয়েছিল তারা। সংশোধনীতে পূর্ব জাভার ভাইস গভর্নর এমিল দারদাক জানান, নিহতদের তালিকায় অনেকের নাম দুইবার ওঠায় বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছিল।
স্থানীয় সময় শনিবারের ঘটনায় আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১৮০ জন।
উত্তর জাভা পুলিশের প্রধান নিকো আফিন্তার বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়, শনিবার রাতে প্রদেশে আরেমা ফুটবল ক্লাব ও পেরসেবায়া সুরাবায়ার মধ্যে ম্যাচ চলছিল। ম্যাচ শেষে পরাজিত দলের সমর্থকরা মাঠে নেমে হাঙ্গামা শুরু করে। তাদের সরাতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়লে অনেকে পদদলিত হয়। শ্বাসকষ্টও শুরু হয় অনেকের মধ্যে।
স্থানীয় টিভি চ্যানেলগুলোর ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, মালাং স্টেডিয়ামের দর্শক সারি থেকে লোকজন ফুটবল পিচের দিকে ছুটে যাচ্ছে। মাঠে মরদেহ বহনের ব্যাগও দেখা গেছে।
ইন্দোনেশিয়ায় ফুটবল ম্যাচকে কেন্দ্র করে দ্বন্দ্ব নতুন নয়। ক্লাবগুলোর মধ্যে তীব্র স্নায়ুযুদ্ধ কখনও কখনও সমর্থকদের সংঘর্ষে রূপ নেয়।
সর্বশেষ প্রাণহানির ঘটনার পর ইন্দোনেশিয়ার ক্রীড়ামন্ত্রী জাইনুদ্দিন আমালি স্থানীয় কম্পাসটিভিকে বলেন, ফুটবল ম্যাচের নিরাপত্তার বিষয়টি পুনর্মূল্যায়ন করবে মন্ত্রণালয়। মাঠে দর্শকদের প্রবেশে অনুমতি না দেয়ার বিষয়টিও পরিকল্পনায় রয়েছে।
ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্দোনেশিয়া (পিএসএসআই) জানিয়েছে, মাঠে হাঙ্গামা ও প্রাণহানির পরিপ্রেক্ষিতে বিআরআই লিগা ওয়ানের ম্যাচগুলো এক সপ্তাহের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
লিগের সর্বশেষ ম্যাচে আরেমাকে ৩-২ গোলে হারায় পেরসেবেয়া।