মাঝেমধ্যেই আলোচনায় আসেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেসের সংসদ সদস্য (এমপি) মহুয়া মৈত্র। তবে সবচেয়ে বেশি মানুষ তাকে বোধহয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চিনেছিল ‘খেলা হবে’ দিবসে। শাড়ি পরে ফুটবল নিয়ে মাঠে নেমেছিলেন তিনি।
এবার এই নেত্রী আলোচনায় এলেন দুর্গাপূজা উপলক্ষে নেচে। শুক্রবার মহাপঞ্চমীতে নদীয়ায় এক শোভাযাত্রায় নেচে সেই ভিডিও টুইটারে আপলোড করেছেন মহুয়া। এ নিয়ে ব্যাপক সাড়া পেয়েছেন তিনি।
হিন্দুস্তান টাইমস বলছে, ‘সোহাগ চাঁদ বদনী তুমি নাচো তো দেখি’ গানের তালে তালে কোমর দুলিয়েছেন মহুয়া। আরও অনেক নারীর সঙ্গে গলা মিলিয়ে রাস্তায় নাচতে নাচতে এগিয়ে যান তিনি।
এমপি মহুয়ার নাচের ভিডিও শেয়ার করেছেন অনেকেই। প্রশংসায় ভাসছেন তারা। কেউ লিখেছেন, আপনার এই শক্তিটাকে ভালোবাসি। আবার কেউ লিখেছেন, যেভাবে মানুষের সঙ্গে মেশেন এভাবেই থাকুন।
এর আগে নতুন প্রজন্মকে খেলাধুলায় উৎসাহ দিতে পশ্চিমবঙ্গ সরকার আয়োজিত ‘খেলা হবে’ দিবসে শাড়ি পরে ফুটবল নিয়ে মাঠে নেমে ভাইরাল হয়েছিলেন এই রাজনৈতিক নেত্রী। গত বছরের পর এবারও ভারতের স্বাধীনতা দিবসের পরদিন ১৬ আগস্ট এ দিবসে ফুটবলের মাঠে শাড়ি পরে নামা তার ছবি ছড়িয়ে পড়ে।
এরপর সর্বশেষ ১৮ সেপ্টেম্বর নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগরে এমপি কাপ টুর্নামেন্টে তার শাড়ি পরে ফুটবলে লাথি দেয়ার ছবিও ভাইরাল হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রশংসায় ভাসে তিনি। লালচে কমলা রঙের শাড়ি পরে মাঠে উপস্থিত হয়েছিলেন এমপি মহুয়া। চোখে ছিল সানগ্লাস, পায়ে জুতা।
২০০৮ সালে বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী ব্যাংকিং সংস্থা জেপি মরগানের ভাইস প্রেসিডেন্ট পদ ছেড়ে রাজনীতিতে নাম লেখান এই নারী। তিনি করিমপুর আসন থেকে বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়ী হন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানিয়েছে, ‘খেলা হবে’ শব্দ দুটি গত বছরের হাইভোল্টেজ বিধানসভা নির্বাচনের সময় তৃণমূল কংগ্রেসের নির্বাচনী ‘ক্যাচলাইন’ ছিল। বিজেপিকে হারিয়ে টানা তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় ফিরে আসার মূলে তৃণমূলের রণহুঙ্কার হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এই ‘খেলা হবে’।
পরে গত বছরের ২২ জুলাই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ১৬ অগাস্ট ‘খেলা হবে’ দিবস পালনের ঘোষণা দেন। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই রাজ্যজুড়ে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনায় পালিত হয় ‘খেলা হবে’ দিবস।
‘খেলা হবে’ দিবস পালনের উদ্দেশ্য নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা জানান, স্বাধীনতার পর দিন যেন মানুষের স্বাধীনতা অক্ষুণ্ন থাকে, স্বাধীনতার ভাষা, কণ্ঠরোধ না হয় তার জন্য খেলাধুলার মাধ্যমে মানুষকে ঐক্যবদ্ধ রাখা হবে। নতুন প্রজন্ম যেন খেলাধুলায় এগিয়ে যেতে পারে সে জন্য ‘খেলা হবে’ দিবস পালন করছে রাজ্য সরকার।