বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিক্ষোভ দমনে সীমান্ত পেরিয়েও ইরানি হামলা, ৯ কুর্দি নিহত

  •    
  • ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ২০:১৮

কুর্দি আঞ্চলিক সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে আরব নিউজ বলছে, প্রতিবেশী দেশটির উত্তরাঞ্চলে ড্রোন হামলা চালিয়ে অন্তত ৯ জনকে হত্যা করেছে ইরান, আহত হয়েছেন আরও ৩২ জন। ইরানি কুর্দি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ঘাঁটি লক্ষ্য করে বুধবার হামলাটি হয়।    

ইরানে হিজাব ইস্যুতে গ্রেপ্তার কুর্দি তরুণী মাহসা আমিনির মৃত্যুতে দেশজুড়ে চলছে বিক্ষোভ। ইতোমধ্যে প্রতিবাদ ছড়িয়ে পড়েছে অন্তত ৭০টি শহরে। বিক্ষোভ দমাতে নিরাপত্তা বাহিনীর কঠোর অবস্থান বাড়ছে প্রাণহানি।

এসবের মধ্যেই সীমান্ত পেরিয়ে ইরাকের কুর্দি অধ্যুষিত অঞ্চলে ইরানের ড্রোন হামলা খবর পাওয়া গেছে। কারণ ইরানে চলমান বিক্ষোভ ও অস্থিরতার জন্য ‘কুর্দি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের’ দায়ী করছে তেহরান।

কুর্দি আঞ্চলিক সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে আরব নিউজ বলছে, প্রতিবেশী দেশটির উত্তরাঞ্চলে ড্রোন হামলা চালিয়ে অন্তত ৯ জনকে হত্যা করেছে ইরান, আহত হয়েছেন আরও ৩২ জন। ইরানি কুর্দি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ঘাঁটি লক্ষ্য করে বুধবার হামলাটি হয়।

ইরানি কুর্দিস্তানের ডেমোক্রেটিক পার্টির সদস্য সোরান নুরি বলেন, ‘ইরবিলের প্রায় ৬৫ কিলোমিটার পূর্বে কোয়া শহরে হামলা হয়েছে।’

ইরানে নিষিদ্ধ বামপন্থী সশস্ত্র বিরোধী সংগঠনটি কেডিপিআই নামে পরিচিত। হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ইরাকের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং কুর্দিস্তান আঞ্চলিক সরকার।

কুর্দিস্তান আঞ্চলিক সরকার বলছে, ‘বিরোধী মতাদর্শের ওপর ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলাকে কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না, এটা যে অজুহাতেই হোক না কেন।

‘আমরা হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। হামলায় বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছে। এসব বন্ধ করার আহ্বান জানাচ্ছি।’

ইরাকের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিবৃতিতে জানিয়েছে, কুর্দিস্তানের চারটি এলাকা হামলার শিকার হয়েছে।

নুরি বলেন, ‘ইরানের ড্রোন হামলা একটি সামরিক ক্যাম্প, বসতবাড়ি, অফিস এবং কোয়া শহরের আশপাশের কয়েকটি এলাকায় আঘাত হেনেছে। হামলা এখনও হচ্ছে।’

তবে এসবে কর্ণপাত করছে না ইরান সরকার। দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আইআরএনএ জানিয়েছে, ইরাকের উত্তরে একটি বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীর ঘাঁটিকে ক্ষেপণাস্ত্র এবং আত্মঘাতী ড্রোন দিয়ে লক্ষ্যবস্তু করেছে বিপ্লবী গার্ড।

কুর্দি নারী মাহসা আমিনিকে গত ১৩ সেপ্টেম্বর তেহরানের ‘নৈতিকতা পুলিশ’ গ্রেপ্তার করে। ইরানের দক্ষিণাঞ্চল থেকে তেহরানে ঘুরতে আসা মাহসাকে একটি মেট্রো স্টেশন থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তিনি সঠিকভাবে হিজাব করেননি।

পুলিশ হেফাজতে থাকার সময়েই মাহসা অসুস্থ হয়ে পড়েন, এরপর তিনি কোমায় চলে যান। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ১৬ সেপ্টেম্বর তার মৃত্যু হয়। পুলিশ মাহসাকে হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করলেও পরিবারের অভিযোগ গ্রেপ্তারের পর তাকে পেটানো হয়।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৬ সেপ্টেম্বর মারা যান মাহসা আমিনি

মাহসার মৃত্যুর পর রাস্তায় বিক্ষোভের পাশাপাশি ফেসবুক ও টুইটারে #mahsaamini এবং #Mahsa_Amini হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে চলছে প্রতিবাদ।

ইরানে ১৯৭৯ সালের ইসলামিক বিপ্লবের পরই নারীদের জন্য হিজাব বাধ্যতামূলক করা হয়। দেশটির ধর্মীয় শাসকদের কাছে নারীদের জন্য এটি ‘অতিক্রম-অযোগ্য সীমারেখা’। বাধ্যতামূলক এই পোশাকবিধি মুসলিম নারীসহ ইরানের সব জাতিগোষ্ঠী ও ধর্মের নারীদের জন্য প্রযোজ্য।

হিজাব আইন আরও কঠোরভাবে প্রয়োগের জন্য চলতি বছরের ৫ জুলাই ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি একটি আদেশ জারি করেন। এর মাধ্যমে ‘সঠিক নিয়মে’ পোশাকবিধি অনুসরণ না করা নারীদের সরকারি সব অফিস, ব্যাংক এবং গণপরিবহনে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

এ ঘটনায় গত জুলাইয়েও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে #no2hijab হ্যাশট্যাগ দিয়ে শুরু হয় প্রতিবাদ। দেশটির নারী অধিকারকর্মীরা ১২ জুলাই সরকার ঘোষিত জাতীয় হিজাব ও সতীত্ব দিবসে প্রকাশ্যে তাদের বোরকা ও হিজাব সরানোর ভিডিও পোস্ট করেন।

এ বিভাগের আরো খবর