বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ফুল হাতে হাজারো মানুষ শিনজোর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার আয়োজনে

  •    
  • ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ১৩:০৭

শিনজোর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া নিয়ে সমালোচনা চলছে দেশজুড়ে। রাষ্ট্রীয়ভাবে কেন তার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার আয়োজন হবে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ক্ষুব্ধরা। তাদের মতে, এতে খরচ না করে অর্থগুলো টাইফুন শিজুয়োকাতে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ব্যয় করা উচিত।

কঠোর নিরাপত্তায় ফুল, প্রার্থণা আর গান স্যালুটে জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানানোর আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে টোকিওর কেন্দ্রস্থলে নিপ্পন বুদোকান হলে তার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার এই আয়োজন শুরু হয় বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে রয়টার্স

শিনজোর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া নিয়ে সমালোচনা চলছে দেশজুড়ে। রাষ্ট্রীয়ভাবে কেন তার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার আয়োজন হবে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ক্ষুব্ধরা। তাদের মতে, এতে খরচ না করে অর্থগুলো টাইফুন শিজুয়োকাতে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ব্যয় করা উচিত।

তবে সমালোচনায় কান না দিয়ে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় বড় ধরনের আয়োজন করেন জাপানের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা। আমন্ত্রণ জানিয়েছেন বহু দেশপ্রধানকে।

অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দিতে সকাল থেকেই ভেন্যুতে উপস্থিত হয়েছেন হাজারো মানুষ। ভিড় সামলানে না পেরে নির্ধারিত সময়ের আধা ঘণ্টা আগেই খুলে দেয়া হয় গেট।

কয়েক ঘণ্টায় ১০ হাজারের বেশি মানুষ শিনজোর প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। ফুল দেয়ার পর কিছুক্ষণ নীরব থেকে সেখানে শিনজোর ছবির সামনে প্রার্থনা করেন তারা।

অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার এই আয়োজনে ৪ হাজার ৩ শ’র মতো মানুষ অংশ নেবে বলে আশা করা হচ্ছে। এতে যোগ দেবেন যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিসহ অন্তত ৪০টি দেশের প্রতিনিধি।

আয়োজনে অংশ নিতে আসা অতিথিসহ পুরো বিষয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশের ২০ হাজারের মতো সদস্য। বন্ধ রাখা হয়েছে ওই এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।

গত ৮ জুলাই জাপানের পশ্চিমাঞ্চলের নারা শহরে এক নির্বাচনী সভায় বক্তৃতা দেয়ার সময় বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত হন শিনজো।

২০২০ সালে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করলেও জাপানের ক্ষমতাসীন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির রাজনীতিতে বড় প্রভাব ছিল তার। এই দলের বড় একটি অংশের নিয়ন্ত্রণ ছিল তার হাতে।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর শিনজো আবে ছিলেন সবচেয়ে কম বয়সী প্রধানমন্ত্রী। ২০০৬ সালে তিনি প্রথবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হন। ২০১২ সালে তিনি আবারও প্রধানমন্ত্রী হন। তার বাবা ছিলেন জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এ ছাড়া তার এক দাদা জাপানের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।

জাপানে বন্দুক হামলা খুবই বিরল ঘটনা। কারণ সেখানে অস্ত্র বহন করা নিষিদ্ধ। এ ছাড়া জাপানে রাজনৈতিক ব্যক্তিদের টার্গেট করে হত্যা করার ঘটনাও খুব একটা দেখা যায় না।

২০০৭ সালে নাগাসাকি শহরের মেয়র ইচো ইতোকে গুলি করে হত্যা করেছিল গ্যাংস্টাররা। ১৯৬০ সালে জাপানের সোশ্যালিস্ট পার্টির প্রধানকে বক্তব্য দেবার সময় গুলি ছুড়ে হত্যা করে ডানপন্থিরা।

এ বিভাগের আরো খবর