ভূত দেখে তৃতীয় শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে ভারতের বীরভূমে। যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ছাত্রীটি মৃগী রোগের উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল।
কিন্তু চিকিৎসকদের কথায় কান না দিয়ে এলাকায় ভূতের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। শিক্ষার্থীরা যাচ্ছে না স্কুলে।
বীরভূমের খয়রাশোল ব্লকের বাবুইজোড় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটেছে।
ঘটনার শুরু বৃহস্পতিবার। স্কুলের মিড ডে মিলে খাবার খাওয়ার পর থালা রাখতে গিয়ে ছাত্রীরা ভূত দেখেছে বলে চিৎকার করতে থাকে। এরপর স্কুলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভূতের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ভয়ে বেশিরভাগই স্কুলে আসা বন্ধ করে দেয়।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক সব্যসাচী ঘোষ বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীদের বলেছি, ভূত বলে কিছু নেই। ভয়ে স্কুলের দুই ছাত্রী অজ্ঞান হয়ে যায়।’
এর মধ্যে শুক্রবার স্কুল থেকে বাড়ি ফিরে অস্বাভাবিক আচরণ করতে থাকে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী রিমি মণ্ডল। রাতে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ভোরে ওই ছাত্রী মারা যায়।
ওই ছাত্রী মৃগী রোগের উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
তবে রিমির মায়ের দাবি, ‘আমার মেয়ে স্কুলে ভূত দেখে এতটাই আতঙ্কিত হয় যে সে বাড়িতে এসে অসুস্থ হয়ে যায়। রাতে হাসপাতালে নিলে মেয়েটা মারা যায়।’
শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান প্রলয় নায়েক বলেন, ‘আমরা খবর পেয়েছি। বিজ্ঞান মঞ্চের কর্মীদের নিয়ে ওই স্কুলে যাব। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।’
বিজ্ঞান মঞ্চের এক সদস্য জানিয়েছেন, ‘ওই স্কুলে ভূতের যে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে তা কুসংস্কার ছাড়া আর কিছু নয়। ভূতের আতঙ্ক আর ছাত্রীর মৃত্যু নেহাতই কাকতালীয় ছাড়া আর কিছু নয়।’