বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রুশ নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে ভোট দেয়া যাচ্ছে রাশিয়ার বিপক্ষেও

  •    
  • ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ১২:২০

রুশ অধীকৃত ইউক্রেনের অঞ্চলে রাশিয়ার মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে যুক্ত হতে শুক্রবার থেকে গণভোট শুরু হয়েছে। এই গণভোটকে অবৈধ বলে প্রত্যাখ্যান করেছে ইউক্রেন ও তার পশ্চিমা মিত্ররা। এরই মধ্যে অভিযোগ উঠেছে, ভোট সংগ্রহ করতে বাড়ি বাড়ি যাচ্ছে অস্ত্রধারী সেনারা। তবে রাশিয়া বলছে, নিরাপত্তার কারণেই এভাবে ভোট সংগ্রহ করা হচ্ছে। বরঞ্চ পশ্চিমা গণমাধ্যমের প্রতিবেদনেই জানানো হয়েছে, এক নারীর পরিবার রাশিয়ার বিপক্ষে ভোট দিলেও সেনারা তা সংগ্রহ করেছে।

রাশিয়াতে যোগদানের বিষয়ে ইউক্রেনের অঞ্চলগুলোতে গণভোট নেয়া শুরু হয়েছে। রুশপন্থি সেনারা ভোট সংগ্রহ করতে বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন, কিন্তু ভোট দিতে হচ্ছে মৌখিকভাবে এবং সেনারা তা টুকে রাখছেন।

ইউক্রেনীয়দের বরাতে বিবিসি এক প্রতিবেদনে এমনটাই বলা হয়েছে।

রুশপন্থি সেনাদের কাছে মৌখিকভাবে ভোট দিতে গেলে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোট দেয়া কী আদৌ সম্ভব, এ বাস্তবতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

এনেরহোদারের একজন নারী বলেছেন, আপনাকে (রুশ অধীকৃত অঞ্চলের বাসিন্দাদের) মৌখিকভাবে উত্তর (ভোট) দিতে হবে এবং সেনারা তা একটি শিটে চিহ্নিত করে রাখে।

মেলিতোপোলের একজন নারী বলেছেন, দুই স্থানীয় সহযোগী দুজন রুশ সেনাকে নিয়ে তার বাবা-মায়ের ফ্ল্যাটে এসেছিল ভোট নিতে।

তিনি বলেন, “আমার বাবা (রাশিয়ার সঙ্গে যোগ দেয়া বিষয়ক ভোটে) ‘না’ দিয়েছিলেন, এ সময় আমার মা কাছাকাছিই দাঁড়িয়ে ছিলেন, তিনি সেনাদের জিজ্ঞাসা করেছিলেন, ‘না দেয়ার জন্য কী হবে?’ তারা বলেছে, কিছুই হবে না।”

যদিও সেই নারী বলেন, তার মা এখন চিন্তিত, তিনি ভাবছেন রুশরা তাদের ওপর নির্যাতন করবে।

সেই নারী জানিয়েছেন, ব্যক্তি বিশেষের জন্য নয়, পুরো পরিবারের জন্য একটি ব্যালট ছিল।

তবে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম বলছে, ঘরে ঘরে গিয়ে ভোট নেয়া হচ্ছে নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে।

যদিও রাশিয়ার গণমাধ্যমের পক্ষ থেকে আগেই বলা হয়েছিল, নির্বাচনি কর্মকর্তারা শুক্রবার থেকে সোমবার পর্যন্ত পোর্টেবল ব্যালট বাক্স নিয়ে ঘরে ঘরে যাবেন। নিরাপত্তার খাতিরে শেষের দিন অর্থাৎ ২৭ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রে হবে ভোট। এ জন্য যাবতীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

পাশাপাশি বিভিন্ন কেন্দ্রেও ভোটদানের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

যুদ্ধ পরিস্থিতির বিষয়টি বিবেচনায় রাখলে রাশিয়ার দাবিও যৌক্তিক।

এদিকে রাশিয়ান ফেডারেশনের সঙ্গে যুক্ত হতে ইউক্রেনীয় অঞ্চলে চলা গণভোটকে অবৈধ ও জালিয়াতির ভোট বলছে ইউক্রেন ও পশ্চিমা মিত্ররা।

২৩ সেপ্টেম্বর শুরু হয়ে ২৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ভোট দেবে পূর্ব ইউক্রেনের দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক এবং দক্ষিণের খেরসন ও জাপোরিজ্জা অঞ্চলের বাসিন্দারা।

একই রকম ভোট আয়োজন করা হয়েছিল ক্রিমিয়ায়। ২০১৪ সালে আয়োজিত সে ভোটে ক্রিমিয়াবাসী রুশ ফেডারশনে যুক্ত হতে ভোট দিয়েছিল।

এর আগে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে লেখা চিঠিতে পুশিলিন রাশিয়ান ফেডারেশনে ডিপিআরকে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টি বিবেচনা করার আহ্বান জানিয়েছিলেন। বলেছিলেন, জনগণ যদি গণভোটে একীকরণকে অনুমোদন দেয়, তবে তারা ফেডারেশনে যুক্ত হবে।

চিঠিতে তিনি লেখেন, ‘দনবাসের সহিষ্ণু জনগণ মহান দেশের (রাশিয়া) অংশ হওয়ার যোগ্য। তারা রাশিয়াকে সব সময় নিজেদের মাতৃভূমি বলে মনে করে। এই পদক্ষেপে ঐতিহাসিক ন্যায়বিচারের পুনরুদ্ধার হবে; যা লাখ লাখ রাশিয়ানের আকাঙ্ক্ষা।

জার্মানি ও ফ্রান্সের মধ্যস্থতায় ২০১৪ সালে হওয়া মিনস্ক চুক্তির আওতায় ইউক্রেনীয় রাজ্যের মধ্যে দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক অঞ্চলকে বিশেষ মর্যাদা দেয়ার কথা ছিল।

এ বিভাগের আরো খবর